খোলাবাজারে ফের ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতি ডলারের দর উঠেছে ১২৬ টাকা পর্যন্ত। মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ব্যাংক বড় অংকের নগদ ডলার কেনায় এমন সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। শুধু ডলারই নয়, ইউরোসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রারও সংকট দেখা দিয়েছে।
ডলারের পাশাপাশি অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রারও সংকট রয়েছে মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে। বাড়তি মূল্য দিয়েও মিলছে না সোনার হরিণ বনে যাওয়া নগদ ডলার।
রফিকুল ইসলাম, পরিবার নিয়ে থাকেন যাত্রাবাড়ি। বাবা-মায়ের চিকিৎসার জন্য ভারতে যাবেন। কিন্তু ডলার কিনতে পারছেন না। বাড়তি দাম দিয়েওে মিলছে না ডলার। তাই টেনশানে আছেন। সময়মতো ডলার না পেলে বিপদের আশঙ্কা করছেন তিনি।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মানি এক্সচেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, ডলারের মূল্য বেঁধে দেয়ায় সংকট তৈরি হয়েছে বাজারে। অনেকে ডলার না স্টক করছেন। ইতোমধ্যে বড় বড় ব্যবসায়ী ও আমলাদের ঘরে ডলারের মজুতের অভিযোগ তুলেছেন তারা।
বিক্রেতারা বলছেন, আমাদের এখানে ডলারের প্রচুর চাহিদা আছে। কিন্তু জোগান পাচ্ছি না। দেশে বিদ্যমান রেটে ডলার কেনা যাচ্ছে না। ফলে বিক্রিও করতে পারছি না।
অপরদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, খোলাবাজার থেকে ব্যাংক নগদ ডলার সংগ্রহ করছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কার্ব মার্কেটে। তাই সাধারণ ক্রেতারা খোঁজ পাচ্ছেন না সোনার হরিণ বনে যাওয়া নগদ ডলারের। পেলেও দাম অনেক বেশী।
শরিফ নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ব্যাংকের যখন ডলার দরকার হচ্ছে, তখন খোলাবাজার থেকে সমানে তা কিনে নিচ্ছে তারা। ফলে আমরা পাচ্ছি না। মানি এক্সচেঞ্জে ডলার কিনতে এসেছি। প্রথমে বললো ১২৬ টাকা। এখন বলছে ১২৭ টাকা। সেই দাম দিয়েও চাহিদামত পাওয়া যাচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপর এক বিক্রেতা বলেন, সাধারণত প্রবাসীরা ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠান। সেখানে যে দামে কেনা হয়, তার সঙ্গে আমাদের সমন্বয় করলে আমরা লেনদেন করতে পারবো।
বিএ/