ফেনীর মুহুরীগঞ্জে ট্রেন ও ট্রাকের সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় রেলওয়ের গেটম্যান মো. সাইফুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বামনসুন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
গ্রেপ্তার সাইফুল মিরসরাই উপজেলার উত্তর সোনাপুর গ্রামের মৃত শেখ মো. আনোয়ারুল আজিমের ছেলে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফেনীস্থ র্যাব অধিনায়ক স্কোয়াডন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম।
তিনি জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মামলার প্রধান আসামি মো. সাইফুল ইসলামকে মিরসরাইয়ের বামন সুন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তার আসামিকে লাকসাম রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৭ জানায়, গেট ব্যারিয়ার না নামানোর কারণে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। ঘটনার পর সাইফুলকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বামনসুন্দর এলাকায় সাইফুল অবস্থান করছেন এমন খবরে র্যাবের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল ওই মামলার পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেন। পরে তাকে লাকসাম রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ দিকে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী রিটন চাকমা বলেন, গেটম্যানদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত হওয়া যাবে। দুর্ঘটনার সময় সিগন্যাল বারটি ফেলা হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ফেনীর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ-সংলগ্ন ক্রসিংয়ে চট্টগ্রামগামী একটি মেইল ট্রেন বালুবাহী ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে ৬ জন নিহত হন। এ ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়। এতে দুর্ঘটনাস্থলের ক্রসিংয়ের দায়িত্বে থাকা গেটম্যান মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. রাশেদ খানকে আসামি করা হয়।
বিএ…