ঢাকামঙ্গলবার , ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফাল্গুনের আগের দিন রাজশাহীতে গোলাপের দামে আগুন

omor faruk
ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯ ৭:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
রাত পোহালেই পহেলা ফাল্গুন। এবার ফাল্গুন মাস আসার অনেক আগেই দেখা গেছে শিমুল ফুল। বাংলা পঞ্জিকার একাদশতম মাস ফাল্গুন। ফাল্গুনের প্রথম দিনেই বসন্তবরণ উৎসব পালন করা হয়। সারাদেশেই বসন্তবরণ উৎসব পালিত হলেও দেশের বিভাগীয় ও জেলা শহর এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা ফাল্গুনের উৎসব করা হয়। বিশেষ করে ফাল্গুনের প্রথম দিনে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তরুণ-তরুণীদের মাছে এই দিনে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। ফাল্গুনের দিনে ফুলের চাহিদা বেশি থাকায় ফুল বিক্রেতাদের বেচাকেনা অনেক বেশি হয়। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে ফাল্গুনের আগের দিনেই ফুলের দাম বেড়ে ৩/৪ গুণ হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সরজমিনে নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট এলাকার ফুলের দোকানের সামনে গিয়ে দেখা যায় তরুণ-তরুণীদের ব্যাপক ভিড়। বন্ধু-বান্ধবীকে সাথে নিয়ে পছন্দের ফুল কিনছে তারা। তবে অন্যান্য ফুলের তুলনায় গোলাপের চাহিদা বেশি রয়েছে। আর এ কারণে এ দামও বেড়েছে ৩/৪ গুণ। ৫ টাকার গোলাপের দাম ধরাহচ্ছে ৪০ টাকা। আর ফুটতে বাকি এমন গোলাপের দাম ধরা হচ্ছে ৫০ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য ফুলের দামও ধরা হচ্ছে বছলের অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি। দামের তোয়াক্কা না করেই ফুল বিক্রেতাদের কাছ থেকে তরুণ-তরুণীরা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে ফুল কিনছে। ফাল্গুনের দিনে তরুণীরা খোপা ও মাথায় ফুল দিয়ে বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ায়। এ দিনটি পালন করা হয় আনন্দে উৎসবে।
সাহেব বাজার এলাকার প্রত্যেকটি ফুলের দোকানেই একই চিত্র। ফুলের চাহিদা বেশি হওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। বছরের অন্য সময়কার থেকে বিশেষ বিশেষ দিনে ব্যাপক ফুলের চাহিদার কারণে তারা দর দামে নেই। এক দামেই বিক্রি করছেন ফুল। সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে গোলাপ কিনতে আসা সামিয়া নামের এক তরুণীর সাথে কথা হলে সে জানায়, গোলাপ কিনতে এসেছি। কিন্তু এর দাম দোকানি ৪০ টাকা চাচ্ছে। হঠাৎ করে সুযোগ বুঝে গোলাপের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এটা ঠিক না। পহেলা ফাল্গুনে ফুল দরকার তাই বেশি দাম দিয়েই ফুল কিনেছি। ফুল কিনতে আসা আরেক তরুণী রাহিমা বলেন, ফুলের দোকানিরা মগেরমুল্লুক পেয়েছে। একটা গোলাপের দাম ৪০ টাকা করে নিচ্ছে। যে গোলাপ বিক্রি হয় ৫ টাকায়। এদের দেখার কেউ নেই তাই এমন আচরণ করছে ক্রেতাদের সাথে। বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে প্রশাসনের উচিত ফুল বিক্রেতাদের মনিটরিংয়ে রাখা। যাতে এরা ক্রেতাদের থেকে বেশি দাম নিতে না পারে। তবে এক ফুল বিক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সব সময় তেমন ফুলের ব্যবসা হয়না। এ সময় দাম বেশি থাকায় বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়। তাই বেশি দাম দিয়েই বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি গোলাপ কেমন দামে কিনছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ফুল বিক্রেতা চুপ ছিলেন। পহেলা ফাল্গুনের দিন ফুলের দাম আরো বাড়তে পারে।

খবর ২৪ ঘণ্টা/আর

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।