প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) এবং জেএসসি ও জেডিসির মতো প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সচিবালয়ে এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নোট-গাইড আর কোচিং নির্ভর পড়াশোনা বন্ধ করতে এবং প্রতিদিন ক্লাসেই মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা অনুসারে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই প্রথম এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রম। যা পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শ্রেণিতেও বাস্তবায়ন করা হবে। এক্ষেত্রে প্রথাগত পরীক্ষাকে কম গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিক মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২০০৮ সালের পর গত বছর আবার প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা চালু করা হয়েছিল। পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় যারা ২৫ শতাংশের বেশি নম্বর পেত তারাই এ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেত। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা কোচিংমুখী হয়ে পড়ে। তাদের কোচিং নির্ভরতা কমাতে শেষ পর্যন্ত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষাও বন্ধ করা হলো।
বিএ/