পাবনা ব্যুরো: প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়ে ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবির অভিযোগে স্কুলশিক্ষকসহ তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথর এলাকা থেকে শনিবার (২৫ জুলাই) সকালে তাদের আটক করা হয়। এর আগে শুক্রবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে ওই নারী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বোঁথর গ্রামের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক মামুন হোসেন (২৬), আলমগীর হোসেন (২৩) ও জগলুল হোসেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বোঁথর গ্রামের জনৈক এক প্রবাসী বছর খানেক আগে সৌদি আরব পাড়ি জমান। তাদের সংসারে ৭ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। সে পৌর শহরের একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের বেবী শ্রেণীতে পড়ে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসা করতেন তার স্ত্রী। এই সুবাদে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে স্কুলের শিক্ষক মামুন হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের রেশ ধরে তারা উভয়েই বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হন।
এরপর গত ১৫ জুলাই রাতে মামুন হোসেন ওই প্রবাসীর স্ত্রীর শয়নকক্ষে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পুনরায় শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হন এবং তার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন মামুন। পরে ওই ভিডিও দেখিয়ে আবারও শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হওয়ার চেষ্টা করলে ওই নারী বিয়ের জন্য মামুনকে চাপ দেন। কিন্তু সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।
এখানেই শেষ নয়, এরপর মামুন তার এলাকার দুই যুবক আলমগীর এবং জগলুলকে সেই ভিডিও মোবাইলের মাধ্যমে হস্তান্তর করে। পরে তারা তিনজন মিলে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে টাকা দাবি করেন। এ ঘটনার পর শুক্রবার রাতে ওই প্রবাসীর স্ত্রী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকেই আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে মেমোরি কার্ড উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
খবর২৪ঘন্টা/নই