দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় এ প্রজ্ঞাপন জারি করে।
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন দেন বলে তথ্য নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন।
দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির মধ্যে জ্যেষ্ঠতার দিক দিয়ে তৃতীয় নম্বরে ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী কুষ্টিয়ার সন্তান। তিনি জেলার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আবদুল গফুর মোল্লা। তিনি ১৯৭২ সালে খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরার সরকারি পিসি কলেজ থেকে আইএসসি, পরে একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। তিনি মাস্টার্স করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। এলএলবি ধানমণ্ডি ল’ কলেজ থেকে।
১৯৮১ সালে ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় যোগদান করেন তিনি। ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৮ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০০১ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি, ২০০৯ সালে হাইকোর্ট ডিভিশনে স্থায়ী বিচারপতি এবং ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
এদিকে দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে গেছেন। প্রধান বিচারপতি হিসেবে আজই তার শেষ কর্মদিবস। সংবিধান অনুযায়ী ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত বিচারপতি পদে থাকা যায়। সেই হিসাবে বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের ৬৭ বছর পূর্ণ হচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর।
দীর্ঘদিনের রীতি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের যে বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেবেন, তার বিষয়ে সম্মতি দিয়ে প্রথমে আইন মন্ত্রণালয়কে জানান। এরপর এ-সংক্রান্ত ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হয়ে বঙ্গভবনে যায়। সেখানে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরের পর প্রধান বিচারপতি নিয়োগের গেজেট জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।
বিএ/