পুলিশ বাহিনীতে নিজ যোগ্যতায় কনস্টেবল পদে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হলেও কেবল ভূমিহীন হওয়ায় চাকরি না পাওয়া আসপিয়া ইসলামের নেট জগতে ভাইরাল হলে নজরে আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এরপর আইনি জটিলতা নিরসনে সকল বিষয়ে উত্তীর্ণ হওয়া আসপিয়ার পুলিশী চাকরির দেয়ার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বরিশাল জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বরিশালের জেলা প্রশাসককে ফোন দেন।
এ সময় তাকে সচিব বলেন, আসপিয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আসপিয়া যাতে কনস্টেবল পদে চাকরি পেতে পারে সেজন্য সরকারি জমিতে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’
এরপর বরিশালের জেলা প্রশাসক হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজকে আসপিয়ার জন্য ঘর নির্মাণে খাস জমি খুঁজে বের করতে বলেন।
হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ জানান, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে ‘আসপিয়ার জন্য ঘর নির্মাণে শুক্রবার বিকেলে হিজলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খাসজমি ঘুরে দেখেছি এবং উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নে কয়েক শতাংশ জমি পাওয়া গেছে।
প্রাথমিকভাবে সেখানে ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। জেলা প্রশাসক স্যারের মতামত পেলে কাজ শুরু হবে বলে জানান ইউএনও।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়ে আসপিয়ার জন্য জমির স্থান নির্ধারণ করতে হিজলার ইউএনওকে বলা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আসপিয়ার জন্য ঘর নির্মাণ সম্ভব হবে।
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন জানান, পুলিশ কনস্টেবল পদে আসপিয়ার নিয়োগ বাতিল করা হয়নি। তবে নিয়োগ আবেদনে তার স্থায়ী ঠিকানা ভুল উল্লেখ ছিল। বিষয়টি পুলিশ ভেরিফিকেশনে উঠে আসে।
তিনি আরো জানান, আসপিয়ার নিয়োগ প্রক্রিয়ার সকল জটিলতা নিরসন করে তার চাকরির বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বরিশাল জেলা পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় একে একে সকল লিখিত, মৌখিক ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেধা তালিকায় পঞ্চম হয় আসপিয়া ইসলাম কাজল। কিন্তু তাঁর স্থায়ী ভূমি না থাকায় এবং ভুল ঠিকানা উল্লেখ করার কারণে চাকরির প্রক্রিয়া আটকে যায়।
বিএ/