সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকদের প্রতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের ও গ্রেফতার, আইনের অপপ্রয়োগ, দৈনিক প্রথম আলোর দায়িত্বহীন এবং অপেশাদারী সাংবাদিকতার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
আজ শনিবার (১ এপ্রিল) সংগঠন দুথটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা প্রকাশ করা হয়।
বলা হয়, বিএফইউজে ও ডিইউজে মনে করে প্রথম আলোর অনলাইন মাধ্যমে ২৬ মার্চ আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবসে একজন শিশুর ছবির সাথে ভিন্ন একজনের বক্তব্য সংযোজন করে যে ফটো কার্ড প্রচার করা হয়, সেটি সেই সংবাদপত্রের সম্পাদক ও বার্তাকক্ষের পেশাদারী ব্যর্থতার বড় দৃষ্টান্ত। সেই ফটো কার্ডটি দ্রুত প্রত্যাহার করা হলেও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কাজটি হয়েই গেছে। শিশুর ছবির সাথে ভিন্ন পরিচয়ের ব্যক্তির উদ্ধৃতিটি উদ্দেশ্যমূলক ভাবে তৈরি ও ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। শিশুটিকে সাংবাদিকের আর্থিক সাহায্য দেয়া এবং তাকে সাংবাদিকতার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়টিও পেশাদারী সাংবাদিকতার দিক থেকে গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও বলা হয়, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে আমরা মনে করি সেটিও এড়ানো যেতো। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সময় সাংবাদিক ইউনিয়ন যে পরামর্শ দিয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি করে আমরা আবারও বলছি সাংবাদিক বা সংবাদ মাধ্যমের বেলায় এই আইন প্রয়োগের আগে উত্থাপিত অভিযোগটির ‘প্রাইমা ফেসীথ ঠিক করার জন্য তা প্রেস কাউন্সিলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক, আইনের কতিপয় ধারা সম্পর্কে আমাদের আগের সুপারিশ আমলে নিয়ে তা সংশোধন করা হোক।
বিএফইউজে ও ডিইউজে আরও গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, ঐ সংবাদ পরিবেশন করে উদ্ভুত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ১২টি দেশের কূটনৈতিক প্রকাশ্যে যৌথ বিবৃতি দেন। যা অনভিপ্রেত বলে মনে করে সাংবাদিক ইউনিয়ন। এই ইস্যুতে বিদেশি কূটনীতিকদের অযাচিত হস্তক্ষেপ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপের সামিল বলে মনে করে সাংবাদিক সমাজ।
বিএ/