প্রতারণার শিকার হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রতারকা দম্পতি ওমর সানী-মৌসুমীর ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীন। নিশাত বিন জিয়া রুম্মান নামে এক ব্যক্তি ব্যবসার কথা বলে তার ২ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ এনেছেন তিনি।
ফারদিন জানান, বিট কয়েন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে নিশাতকে এ টাকাগুলো ধার হিসেবে দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এ অভিযোগ আনেন ফারদিন।
ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আইনি নোটিশ ও ডিবি কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ফারদিন। এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনায় তিনি লেখেন, আজ একজন ভণ্ড প্রতারক এবং অর্থ পাচারকারীর বাস্তব ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
নিশাত বিন জিয়া রুম্মানের সঙ্গে আমার পরিচয় ২০২২ সালের মাঝামাঝি। পরিচয় হওয়ার চার মাস পর আমাকে এবং আমার কিছু পরিচিত মানুষদের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গভীর হয়।
তাই কিছু নগদ অর্থ ব্যবসায়িক পুঁজি হিসেবে নিতে শুরু করেন তিনি। যদিও পরে জানা যায়, তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তো দূরের কথা, বৈধ কোনো ট্রেড লাইসেন্সই নেই।
ফারদিনের সেই পোস্ট
ফারদিন আরও জানান, তিনি ১০ থেকে ৩০ শতাংশ মুনাফার ফাঁদে পড়েছেন। বলেন, আমার টাকাকে এক প্রকার ব্যবসায়িক লোন বলতে পারেন। এসব লেনদেন যেন বাংলাদেশ সরকারের চোখে না পড়ে, তাই বিটকয়েন কিংবা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে করে থাকে তারা। যা আমি পরে জেনেছি। ধাপে ধাপে তাকে ব্যবসায়িক ইনভেস্টমেন্ট ধার আকারে ২ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করেছি এবং তার বিপরীতে তাকে আমি বলেছি, আমাকে সিকিউরিটি হিসেবে আমার ইনভেস্টমেন্ট মূল্যের ব্যাংকের চেক প্রদান করতে হবে। সেই চেক প্রদান করে তিনি আমার থেকে গত জানুয়ারি মাসে ২ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা বুঝে নেন। বিভিন্ন সময় তার কাছে আমার হকের টাকা চাইতে গিয়ে আমাকে এবং আমার অফিসের কর্মচারীদের হয়রানির শিকার হতে হয়। তিনি বলেন, আমি ঢাকা ডিবি অফিসে গত এক মাস আগে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সব ভুক্তভোগীকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। অনেকেই এখন মামলা করবে বলে এগিয়ে যাচ্ছেন। চেক দিয়েছে, অর্থ আমাকে প্রদান করতে পারেনি তাই আমি চেকের মামলা দিচ্ছি, কিন্তু এত প্রতারণা অর্থপাচার এগুলোর জন্য কি কোনো বিচার হবে না?
ছেলের প্রতারিত হওয়ার বিষয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়েছেন চিত্রতারকা ওমর সানীও। অভিযুক্ত নিশাত বিন জিয়ার ছবি ও ভিডিও পোস্ট তিনি লিখেছেন, আমি একজন ভুক্তভোগীর বাবা এবং আমার পরিবার। এই কাজটা আমার ছেলের সঙ্গে করা হয়েছে। গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিএ/