রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাওয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশকে দায়ী করছে বিএনপি। নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকা শহরের সব থানায় বিক্ষোভ করবেন দলটির নেতাকর্মীরা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আবদুস সালাম বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা করেছে। এটা আমাদের কবর জিয়ারতের কর্মসূচি ছিল। এ হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল ঢাকা শহরের থানায় থানায় বিক্ষোভ করব, প্রতিবাদ মিছিল হবে।
হামলার ঘটনায় সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা এখনও আন্দোলন শুরু করিনি, সরকার আমাদের প্রতিবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানাব।’
পুলিশের হামলার ঘটনায় আহতদের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে না পারলেও আবদুস সালাম বলেন, অসংখ্য আহত হয়েছে এবং গ্রেপ্তার হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা সম্পূর্ণ তথ্য পাইনি।
এ হামলার সময় পরিকল্পনা সচিবের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের এ সদস্য বলেন, ‘এটা সরকারের সাজানো ঘটনা, সরকার ভাঙচুর করেছে। আমাদের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোরশেদ আলম, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা সেলিনা সুলতানা নিশীতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল সকালে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে ফুল দিতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, তেজগাঁও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান (টগর), আবুল কালামসহ (৬২) বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হন অর্ধশতাধিক।
জেএন