1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
পুলিশের সঙ্গে যুবলীগের ব্যপক সংঘর্ষ, ২ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫ জন ঢামেকে - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৮ অপরাহ্ন

পুলিশের সঙ্গে যুবলীগের ব্যপক সংঘর্ষ, ২ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫ জন ঢামেকে

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৮

খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জ নগরীর খানপুর বরফকল খেয়াঘাট সংলগ্ন চৌরঙ্গী ফ্যান্টাসী পার্কের সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে যুবলীগ নেতাকর্মীদের ব্যপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সংঘর্ষে আহত ডিবি পুলিশের ২ কর্মকর্তাসহ ৫ জনের অবস্থা অশঙ্কাজনক। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, আহতদের মধ্যে ডিবি’র এসআই মিজান ও এসআই সায়েমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে যুবলীগ নেতা জালাল, ছেলে আলামিন ও রবিনকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়াও, আহত ডিবি’র পরিদর্শক মাসুদ, এএসআই আমিনুল ও এএসআই বকুলকে নারায়নগঞ্জের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহত অপর কয়েকজনকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ঘটনার পর খানপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

ঘটনাটি তদন্তে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খানপুর বরফকল খেয়াঘাট সংলগ্ন চৌরঙ্গী ফ্যান্টাসী পার্কের সামনে মাইলাইফ কেয়ার ফাস্টফুড নামের একটি দোকানে পরিবার পরিজন নিয়ে খেতে যান এএসআই আমিনুল ও এএসআই বকুল। এসময় মিল্কসেইক খাওয়ার পরে ওই মিল্কসেইকটি ভালো হয়নি দাবি করে বিল দিতে রাজি হয়নি এএসআই আমিনুল ও এএসআই বকুল। এসময় তাদের সঙ্গে ফাস্টফুডটির মালিক ১১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি জালালের পুত্র আলামিন ও রবিন বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।

বাকবিতণ্ডার সময় তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এসময় যুবলীগ নেতা জালাল ও তার স্ত্রী রিনা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে আসলে ডিবির দুই এএসআই মিলে তাদেরকে মারধর করে। এতে করে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই দুই এএসআইকেও বেধড়ক পিটুনি দেয়।

খবর পেয়ে ডিবি’র পরিদর্শক মাসুদ, এসআই মিজান ও এসআই সায়েম ঘটনাস্থলে আসলে লাঠিসোটা দিয়ে তাদেরকেও বেধড়ক পিটুনি দেয়া হয়। পরে অতিরিক্ত ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

এ ঘটনার পর যুবলীগের নেতাকর্মীরা প্রায় ২০ মিনিট নারায়ণগঞ্জ-সিদ্ধিরগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখে।

পরে যুবলীগ নেতা জালাল, তার স্ত্রী রিনা, দুই পুত্র আলামিন ও রবিনকে খানপুরস্থ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক খানপুরস্থ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম হাসপাতালে গিয়ে ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

আহতদের মধ্যে ডিবি’র এসআই মিজান ও এসআই সায়েমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে যুবলীগ নেতা জালাল, ছেলে আলামিন ও রবিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, ওই ঘটনাটি তদন্তের জন্য তাকে প্রধান করে একটি ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনায় যদি ডিবি পুলিশের কোনও কর্মকর্তা দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

/জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST