রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কসাই বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পোল্যান্ডে শরণার্থীদের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
শনিবার (২৬ মার্চ) এ খবর প্রকাশ করে সিএনএন।
জো বাইডেন বলেন, রাশিয়া তার আক্রমণের কৌশলে পরিবর্তন এনেছে কিনা সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। যেখানে মস্কো বলেছিল, ক্রেমলিনের মনোযোগ এখন বিচ্ছিন্ন পূর্ব দোনবাস অঞ্চলকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করার দিকে।
এদিকে, পোল্যান্ডে ইউক্রেনের দুই মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়ার হামলার পর এটাই ইউক্রেনের কোনো উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাইডেনের সরাসরি বৈঠক ছিল। শুক্রবার থেকেই বাইডেন পোল্যান্ডে অবস্থান করছেন। পোলিশ প্রেসিডেন্টে আন্দ্রেজ দুদার সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেছেন।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।
এ দিকে চলমান এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৯ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা এবং রাশিয়ার ১৬ হাজার ১০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের এক হাজার ৩৫১ সেনা নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনের এক হাজার ৮০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
সূত্র : সিএনএন
বিএ/