পুঠিয়া(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) পদটি শূণ্য রয়েছে। রহস্যজনক কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ পদে কেউ যোগদান করছেন না। সর্বশেষ আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম। গত ২০১৩ সালে পদন্নতি নিয়ে চলে গেছে। এর পর থেকে এ পদে আর কেউ যোগদান করেননি। ভার প্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার দিয়ে এ পদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একজন মেডিকেল অফিসারকে সার্বক্ষণিক এ পদের দায়িত্ব
পালন করতে হয়। এ পর্যন্ত যে কয়জন আবাসিক মেডিকেল অফিসাররা এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগ ডাক্তারই স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সের কোয়টারে থাকেন না। ফলে সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলে তারা তা করেন না। এছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউট ডোরের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদটিও শূণ্য রয়েছে। এতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগিরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। প্রতিদিন গড়ে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ শতাধিকের বেশি রোগি আউডোরে চিকিৎসা নিতে আসেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগ রোগিই মেডিসিন ডাক্তারের রোগি বলে জানাগেছে। এসব রোগিরা মেডিসিনের ডাক্তার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে মেডিকেল অফিসার অথবা জরুরী বিভাগের ডাক্তারের কাছে ভিড় করছেন। অনেকেই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না পেয়ে ঘুরে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারের পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডাক্তার নাজমা আক্তার জানান, বিষয়টি আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এছাড়ার এমপি মহোদয়কে জানানো হয়েছে।
আর/এস