নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পুঠিয়ায় মাহামান্য হাইকোর্টের নাম ভাংঙ্গিয়ে পুকুর খননের হিড়িক চলছে। করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাবের ভেতর হাইকোর্টের আদেশে ১৮টি ফসলি জমিতে পুকুর খননের কাজ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশিষ্ট মৎস অফিসের জরিপ অনুযায়ী উপজেলার প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমি ইতোমধ্যে পুকুর খনন করার হয়েছে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত যে ভাবে হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে পুকুর খনন হচ্ছে। এতে করে আগামীতে এই এলাকায় তিন ফসলী জমির সংকট দেখা দিতে পারে। জানাগেছে, সারা দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে লোকসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য সরকারি নিদের্শনা রয়েছে। সরকারি নিদের্শনা অমান্য করে, উপজেলার বেশ কয়েটি ইউনিয়নে জমির শ্রেনী পরির্বতন না করে ফসলী জমিতে পুকুর খননের কাজ চলছে। গত এপ্রিল মাসে উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের গোটিয়ার বিলে প্রায় ৮০ বিঘা ফসলি জমিতে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন কাজ চলছিলো। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কৃষকরা বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোনো প্রকার প্রতিকার পায়নি। গত ৪ মে উপজেলার ভালুকগাছি ইউপির গোটিয়া বিলের স্থানীয় কৃষকরা অবৈধ পুকুর খননের প্রতিরোধে প্রতিবাদ সভা এবং মানববন্ধন পালন করেন। এছাড়াও গত ১৩ এপ্রিল শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন, করোনাভাইরাসের সমস্যার মধ্যে চলছে, কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর খননের কাজ। শিলমাড়িয়া ইউপির শতকরা ৪০% ফসলী জমি পুকুর খননের কাজ কোথাও চলছে, কোথাও শেষ হয়েছে। উপজেলায় ভালুকগাছি, বেলপুকুর, জিউপাড়া ইউপিতে হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে ১৮টি স্থানে ফসলি জমিতে পুকুর খননে কাজ চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার এক কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবৈধ পুকুর খনন করার জন্য ভীষণ চাপ আছে। তারপর সম্প্রতি উপজেলায় প্রতিনিয়ত হাইকোর্টের দোহাই দিয়ে পুকুর খনন চলছে। কিন্তু মহামান্য সুপ্রিম হাইকোর্ট সংশিষ্ট এলাকা কোনো প্রকার জরিপ না করেই আদেশগুলি দিচ্ছেন। হাইকোর্টের পুকুর খননের আদেশ পালন করতে গিয়ে এলাকার মানুষের সঙ্গে প্রশাসনের খারাপ সর্ম্পক তৈরি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুন নাহার ভুইয়া বলেন, বর্তমানের আমদের এলাকায় তিন ফসলী জমিতে যে পরিমান পুকুর খনন হচ্ছে তাতে করে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। এখন যে কঙ্কটকালী সময় চলছে। তাকে একমাত্র খাদ্যনিরাপত্তাই দেশকে এ সঙ্কট থেকে উত্তোরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের উপজেলায় তিন ফসলী জমি থাকায় প্রতি বছর আমাদের খাদ্য উদ্বৃত্ত হয়। এখন যদি এসব জমিতে পুকুর খনন করা হয় তাতে আগামীতে খাদ্য উদ্বৃত্তের চেয়ে আমাদের সঙ্কটে পরতে হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, বর্তমানে আমাদের মহামান্য হাইকোর্ট এর আদেশ অনুযায়ী পুকুর খননের অভিযান করতে গিয়ে উপজেলায় অনেক স্থানে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়াও ১৮টি আদেশের ভেতর পার্শ্ববর্তী দুর্গাপুর উপজেলার মৎমজীবিদের কয়েকটি রয়েছে। খবর২৪ঘন্টা /এবি