নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পুঠিয়ায় মাদক চোরাচালানের সময় র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে স্কুলছাত্রী ইভা আক্তার (১২) ধর্ষণ মামলার আসামী ইখলাস (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার পিরগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত এখলাস পুঠিয়া উপজেলার হলহলিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে র্যাব ৪৮০ পিস ইয়াবা, বিদেশী পিস্তল, শুটারগান, গুলি, গুলির খোসা ও ম্যাগজিন উদ্ধার করেছে। ইখলাস তার আপন শ্যালিকা ইভা আক্তার (১২) কে তার বাড়িতে একা পেয়ে জুসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করেছিল। পরে ইভা আত্মহত্যা করলে থানায় ধর্ষণ ও আত্মহত্মার প্ররোচণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় তিনি পলাতক ছিলেন। ঘটনার পর ইভার বাবা আসামীর বিচারের দাবিতে ব্যানার নিয়ে
রাস্তায় রাস্তায় ও মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছেন। র্যাব-৫ রাজশাহীর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম মাইনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে র্যাবের একটি টহল দল জানতে পারে পুঠিয়া উপজেলার পীরগাছায় কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী মাদক কেনাবেচার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব ঘটনাস্থলে গেলে মাদক ব্যবসায়ীরা অতির্কিতভাবে গুলি চালাতে শুরু করে। জানমাল রক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ১০-১৫ মিনিট গুলি বিনিময়ের পর র্যাব স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে তল্লাশী করে একজন অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ীকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ঘটনাস্থল থেকে ৭.৬৫ মিঃ মিঃ বিদেশী ১টি বিদেশী পিস্তল, ১ টি ওয়ান শুটারগান, ২ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগজিন, গুলির খালি খোসা ১টি ও ৪৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় র্যাবে দুই সদস্যও আহত হয় বলে জানানো হয়। তিনি আরো জানান, পরে জানা যায় বন্দুক যুদ্ধে নিহত ইখলাস আলী পুঠিয়া উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামের সেলিমের ছোট মেয়ে ইভা আক্তার (১২) কে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং ঘটনা প্রকাশে বাধা-নিষেধ করে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী মামলার প্রধান
আসামী ছিলেন। উল্লেখ্য, স্কুলছাত্রী ইভা আক্তার তার বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ সেখানে ছিল। সেখানে অবস্থানকালে তার দুলাভাই জুসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর বাড়িতে ফিরে সে ১১ এপ্রিল নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় পুঠিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় তার বাবা রাস্তায় ব্যানার নিয়ে একা আসামীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে।
এমকে