রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে নিযুক্ত এক প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে দেড় লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
ওই প্রশিক্ষকের নাম শাহানাজ বেগম শিমু। সে গত আগস্ট মাসে ৪০ জন মহিলা প্রশিক্ষনার্থীদের বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগিরা ওই প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীন অসহায় নারীদের কর্ম দক্ষতা অর্জনের লক্ষে সেলাই, হাতের কাজ, বিউটিপার্লারসহ বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে। আর তাদের প্রশিক্ষনের জন্য প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েকজন নারী প্রশিক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে। আর প্রতিটি গ্রুপে ৩০ জন করে নারী প্রশিক্ষন গ্রহণ করছে।
শিল্পী বেগম ও কামরুনাহার বেগম নামের দুই নারী প্রশিক্ষনার্থী জানায়, ওই প্রশিক্ষক মিথ্যা কথা বলে আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। সে কাজ শিখতে আসা বিভিন্ন গ্রুপের অন্তত ৪০ জন মহিলাদের নিকট থেকে দেড় লাখ টাকার বেশী আত্মসাৎ করেছে। এখন আমাদের টাকা চাইলে সে নানা ভাবে হয়রানি করছে।
যার কারণে আমরা গত সপ্তাহে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
পীরগাছা গ্রামের প্রশিক্ষনার্থী শিউলি বেগম জানায়, গত দুই মাস আগে আমাদের গ্রুপে সেলাই কাজ শিখতে ৩০ জন মহিলা যুক্ত হয়। আর আমাদের কাজ শেখান প্রশিক্ষক শাহানাজ বেগম শিমু। কাজ শুরুর কয়েকদিন পর ওই আপা আমাদেরকে বলে যে, আধুনিক ও প্রযুক্তির যুগে দুই এক বছরের মধ্যে টাকার বিলুপ্তি ঘটবে। এখন থেকে যারা বিট কয়েন কিনে রাখবে, সরকার তাদের পরিবারকে প্রতিমাসে ফ্রিতে রেশন দিবে। আর বিট কয়েন কিনতে জনপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা করে জমা দিতে হবে। আমরা তার কথার প্রলোভনে না বুঝে টাকা দিয়েছি। এখন সে আর আমাদের টাকা ফেরৎ দিচ্ছে না।
এবিষয়ে প্রশিক্ষক শাহানাজ বেগম শিমু’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করবেন না বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ডালিয়া পারভিন লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষনার্থীদের নিজেস্ব বিষয়। টাকা লেন-দেনের এ বিষয়ে আগে কেও আমাকে কিছুই জানায়নি।
তিনি বলেন, যদ্দুর শুনেছি প্রশিক্ষনার্থীরা লোভে পড়ে টাকা গুলো দিয়েছিল। এখন আর ফেরৎ পাচ্ছে না। যার কারণে ভুক্তভোগিরা গত সপ্তাহে ওই প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
বিএ/