1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
পুঠিয়ায় পুকুর খননে ব্যাপক জলাবদ্ধতায় ফসলহানি - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১১ জানয়ারী ২০২৫, ০২:৫৭ অপরাহ্ন

পুঠিয়ায় পুকুর খননে ব্যাপক জলাবদ্ধতায় ফসলহানি

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ১০ সেপটেম্বর, ২০২০

পুঠিয়া প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় যত্রতত্র অবৈধভাবে পুকুর খননের কারণে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ভূক্তভোগিদের অভিযোগ, একটি প্রভাবশালী মহল স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের ফলে প্রত্যন্ত এলাকার লোকজন পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে ব্যাপক লোকসানে পড়েছেন চাষিরা।
জানা গেছে, উপজেলায় মোট কৃষি জমির পরিমাণ ৩৬ হাজার ৫৬৫ একর। এর মধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিসকে ম্যানেজ করে একটি মহল স্থানীয় চাষীদের প্রায় ১১ হাজার একর জমিতে বানিজ্যিক পুকুর খনন করেছে। তবে সবচেয়ে বেশী পুকুর খনন করা হয়েছে শিলমাড়িয়া ও ভালুকগাছি ইউনিয়ন এলাকাতে। যার পরিমান প্রায় ১০ হাজার একর। এতে করে বর্ষা মৌসুমে ওই দুই এলাকার পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বর্ষার শুরু থেকে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে করে এ বছর বিভিন্ন এলাকাতে শত শত একর জমির ফসলহানি ঘটেছে।
শিলমাড়িয়া এলাকার খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের বিলে পানি নিস্কাশনের নালার মূখ দখল করে পুকুর খনন করা হয়েছে। এতে করে বিল তলিয়ে বর্তমানে উচু এলাকাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিস্কাশনের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বিলে কোনো ফসল উৎপাদন হচ্ছে না। আর পুকুর মালিকগণ অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। এলাকাবাসীরা একাধিকবার উপজেলা পরিষদ ও কৃষি অফিসে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না।
ভালুকগাছি ইউপি চেয়ারম্যান তাকবির হাসান বলেন, গত একযুগ ইউনিয়ন এলাকার সকল বিলের পানি নিস্কাশনের জন্য যে নালা ছিল তা এখন পুকুর মালিকদের দখলে। তারা অপরিকল্পিত ভাবে যত্রতত্র পুকুর খনন করেছেন। এতে করে বিগত দিনের চেয়ে এবার মাত্রাতিরিক্ত জলাবদ্ধতায় এই এলাকায় ধান চাষ নেই বললেই চলে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শামসুন নাহার ভুঁইয়া বলেন, আদালতের নিদের্শ ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনেকেই নিচু জমির পাশাপাশি তিন ফসলী জমিতে পুকুর খনন করেছেন। এরমধ্যে প্রায় সকল পুকুর অপরিকল্পিত ভাবে খনন করা হয়েছে। আবার অনেকেই পানি নিস্কাশনের সরকারী ক্যানেল দখল করে পুকুর খনন করেছেন। যার ফলে বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকদের ফসলহানি হয়েছে। জলাবদ্ধতায় কি পরিমান ফসলহানি ঘটেছে তার একটি চুড়ান্ত প্রতিবেদনের কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, যত্রতত্র স্থানে পুকুর খননের কারণে জলাবদ্ধতার বিষয়টি স্থানীয় সমস্যা। এই বিষয়টি এলাকার লোকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সুরাহা করতে পারেন।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST