পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় চাঞ্চল্যকর ট্রাক চালক আবু তালেবকে পিটিয়ে হত্যার তিন মাস অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে এই মামলা ঝিমিয়ে পড়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ভূক্তভোগি পরিবার বলছেন, হত্যাকান্ডের ঘটনা ও মামলা দায়েরের কয়েক মাস হলেও থানা পুলিশ মুল আসামীদের এখনো আটক করতে পারেননি। এতে করে ভূক্তভোগি পরিবার এই মামলায় সঠিক বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। নিহতের স্ত্রী ও হত্যা মামলার বাদী নারগিস বেগম বলেন, আমাদের ৫জন সদস্যের পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী ছিল আমার
স্বামী। বর্তমানে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের খাবার যোগান দিতেই আমার নাভিশ্বাস উঠে যায়। তার উপর স্বামী হত্যা মামলার খোজ কিভাবে নেব? আমরা খুবই গরীব মানুষ আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম তিনি খুনিদের বিচার করবেন।
নিহতের প্রতিবেশী পুঠিয়া পৌর আ’লীগের সভাপতি আবু বকর বলেন, নিহত ট্রাক চালক আবু তালেবের পরিবারের পাশাপাশি আমরাও এই হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার চাই। কিন্তু থানা পুলিশের তদারকি ও মামলার অগ্রগতি খুবই রহস্যজনক। ঘটনার দিন পুলিশ ৫ জন আসামীকে আটক দেখিয়ে তাদের দ্বায় শেষ করেছেন বলে মনে হয়। যার কারণে ভূক্তভোগি পরিবার সঠিক বিচার পাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অসুস্থ্যতার কারণে তাকে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে আবু তালেব মাল বোঝাই ট্রাক নিয়ে বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজার থেকে পুঠিয়া সদরের দিকে আসছিল। পথে তাহেরপুর এলাকায় আসামাত্র ট্রাকের চাপায় ছাগল মারা যায়। এ ঘটনায় ওই
এলাকার ২০/২৫ জনের একটি দল মোটরসাইকেল নিয়ে ট্রাকটিকে ধাওয়া করে পুঠিয়ার বাসুপাড়া এলাকায় আটক করে। সে সময় হেলপার পালিয়ে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করলেও তারা ট্রাক চালক আবু তালেবকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন ট্রাক চালক আবু তালেবকে মুমূর্ষ অবস্থায় পুঠিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ওই রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত ট্রাক চালকের স্ত্রী বাদী হয়ে ১৩ জনের নামে ও আরো অজ্ঞাতনামা ১২ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ৫ জনকে আটক করেছে।
জেএন