পুঠিয়া (রাজশাহী) সংবাদদাতা : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল গেটে ও বহির্বিভাগে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সেখানে সেবা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা বিপাকে পড়েছে।
সরোজমিনে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল গেটের সামনে ও বহির্বিভাগের গেটের সামনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই পানির সঙ্গে মিশে গেছে হাসপাতালে নোংরা ড্রেনের পানি। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডের রোগী ও স্বজনদের জন্য যে টয়লেট রয়েছে সেই টয়লেটের পাইপ থেকে মল মূত্র বেরিয়ে পানির সাথে মিশে গেছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, আমরা সকাল থেকে একাধিক বার ঔষুধ কেনার জন্য হাসপাতালের বাইরে গিয়েছিলাম। সেই সময় আমাদের এই নোংরা পানির মধ্য দিয়েই যেতে হয়েছে। আর কিছুক্ষণ পর থেকেই পায়ে শুরু হয় চুলকানি। আমরা এখন আতঙ্কিত যে এই পানি থেকেই আমাদের না চর্মরোগ ছড়ায়।
রোগীরা আরও জানান, পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মহাসড়কের পাশে হওয়ায় আশেপাশের বেশ কয়েকটি উপজেলার রোগীরা চিকিৎসা নিতে এখানে আসেন। আমরা যেটুকু বুঝি প্রতি বছরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য অনেক টাকা অর্থ বরাদ্দ আসে। তার সঠিক কাজ হয় কিনা কিংবা কর্তৃপক্ষ নজরদারি না করার কারণেই আজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আশা রোগী এবং আমাদের স্বজনরা জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছেন।
নাম গোপন রাখা শর্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন ডাক্তার বলেন, ভারী বৃষ্টি হলে অতিরিক্ত পানি জমা হওয়ার কারণে আমরা নিজেরাও ঠিক মত অফিসে আসা-যাওয়া করতে পারিনা। যদিও হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গাতে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন তৈরি করা হয়েছে কিন্তু এগুলো দেখভালের দায়িত্বে যিনি আছেন তার উদাসীনতার কারণেই পাতা পড়ে এবং ময়লা জমে পানি নামা রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে মূলত এই সমস্যাগুলো প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা চাই এর একটি স্থায়ী সমাধান।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সূচনা মনোহারার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ন/জ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।