1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের আম বাগান ইজারাদার পরিচ্ছন্ন কর্মী-ভোগ করেন ইউএনও - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ অপরাহ্ন

পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের আম বাগান ইজারাদার পরিচ্ছন্ন কর্মী-ভোগ করেন ইউএনও

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের আম বাগান ইজারা নিয়ে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। খাতা-কলমে পরিষদের একজন পরিচ্ছন্নকর্মীর নামে তিন বছরের জন্য ফলজ বাগান ইজারা দেখালেও ভোগ দখল করছেন নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ।

পরিষদের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে ইউএনও কৌশলে নামমাত্র মূল্যে তা ভোগ দখল করছেন। যা সরকারি বিধি পরিপন্থী। এতে করে প্রতিবছর সরকার কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।

উপজেলা পরিষদের তথ্যমতে, পরিষদের মধ্যে প্রায় ৫ একর আম বাগান রয়েছে। এছাড়া আবাসিক এলাকায় আরও অর্ধ শতাধিক আমের গাছ রয়েছে। সেই সাথে ডাব গাছও রয়েছে অর্ধ শতাধিক। গত বছর সকল ফলের বাগান মাত্র ৭০ হাজার টাকায় সুনিল চন্দ্র নামের এক পরিচ্ছন্ন কর্মীকে তিন বছরের জন্য ইজারা দেয়া হয়েছে।

নিজাম উদ্দীন নামের একজন মৌসুমি আম ব্যবসায়ি বলেন, পরিষদের মধ্যে আম বাগানসহ যত ফলজ গাছ রয়েছে এগুলো প্রকৃত ডাক হলে তিন বছরে ইজারা মূল্যে হবে কমপক্ষে ৬-৭ লাখ টাকা। অথচ এ গুলো প্রকাশ্যে ডাকে ইজারা দেয়া হয় না। অফিসাররা বাগানের আম গুলো নিজেদের কর্মচারি দিয়ে গাছ থেকে পেড়ে সেগুলো বাজারে বিক্রি করেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে উপজেলা পরিষদের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিগত সময়ে পরিষদের ফল বাগান গুলো সরকারি বিধি মোতাবেক প্রকাশ্যে ডাকের মাধ্যমে ইজারা দেয়া হতো। তবে বর্তমান ইউএনও এখানে যোগদানের পর থেকে অনিয়ম করে কৌশলে সকল ফল বাগান নিজে ভোগ করছেন। আর গোপনে একজন পরিচ্ছন্ন কর্মীর নামে তিন বছরের ইজারা দেখিয়েছেন। আবার খাতা-কলমে ইজারা মূল্যে দেখিয়েছেন অর্ধলক্ষ টাকার কিছু বেশী। ওই কর্মকর্তা বলেন, যে পরিচ্ছন্ন কর্মীর নামে বাগান ইজারা দেয়া হয়েছে হয়তো তিনি নিজেও জানেন না।

ফল বাগান ইজারদার ও পরিষদের পরিচ্ছন্নকর্মী সুনিল চন্দ্র বলেন, শুনেছি বাগান গুলো আমার নামে নাকি ডাক হয়েছে। তবে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারবো না। আম বাগানসহ বিভিন্ন ফল কে ভোগ দখল করছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি পরিষদে ছোট পদে চাকুরি করি’ আর এ বিষয়ে কোনো জবাব দিতে চাচ্ছি না।

তবে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, বিগত সময়ে এই ফল বাগান গুলো বারো ভূতে খেত। তিনি যোগদান করার পর নিয়মানুসারে সরকার রাজস্ব পাচ্ছেন। নামে পরিষদের পরিচ্ছন্নকর্মী আর ভোগ করছেন ইউএনও এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ওই পরিচ্ছন্নকর্মী পরিষদের কেউ না। সে একজন অস্থায়ী কর্মী।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু বলেন, যদ্দুর জানি নিয়মানুসারে ইজারা প্রক্রিয়া করা হয়েছে। পরিষদের কর্মকর্তা বা কর্মচারিরা গোপনে বা কৌশলে ইজারা নিতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিএ/

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST