রাজশাহীর পুঠিয়ার নওপাড়ায় বিয়ের দাবিতে রংপুর থেকে তরুনী এসে করছেন অনশন। প্রেমিকা আসার পর বাড়ি থেকে প্রেমিক এরশাদ আলী পলাতক।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে ওই তরুনী অনশনে বসে প্রেমিক এরশাদ আলীর বাসায়। প্রেমিকা নাজমুন নাহার রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের মোনতারপাড়া এলাকার নুর হোসেনের মেয়ে।
উপজেলার ভালুকগাছি ইউপির নওপাড়া গ্রামের রাখাল মিয়ার ছেলে, এরশাদ আলীর বাসায় অনশন করছেন রংপুর থেকে আসা ওই তরুণী। তিনি বলেন, আমরা দুজনে ঢাকার মেঘনায় একটি কোম্পানিতে কাজ করার সুবাদে এরশাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়। তা একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। আমাদের প্রায় ৮ মাস যাবত প্রেমের সম্পর্ক। গত কিছুদিন আগে ঢাকার মেঘনা এলাকায় আমাদের দু’জনের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু এরশাদ বিয়ে না করে এখানে পালিয়ে চলে আসে। তাই আমি তার বাসায় এসে বিয়ের দাবি জানাচ্ছি। আমার প্রেমিক এরশাদের সাথে আমার টাকা লেনদেন রয়েছে। তাকে আমি বহু টাকা দিয়েছি। আমি টাকা ফেরত চাই না। আমি স্বামী হিসেবে পেতে চাই। যার কারনে আমি এত টাকা তার পেছনে খরচ করেছি, তাকে দিয়েছি। আমি বাধ্য হয়ে এত দূর থেকে এসে তার বাসায় উঠেছি।
এ বিষয়ে জানতে প্রেমিক এরশাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ না করা তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, এরশাদের বাসা থেকে আমাকে এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। আমি যখন ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন ওখানে দাঁড়িয়ে শুনলাম ঘটনাটি। পরে ওই অনশনে বসা মেয়েটির সাথে কথা হয়। ওই মেয়েটির সাথে কথা বলে জেনেছি তাদের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তাই এত দূর থেকে বিয়ের দাবিতে এখানে এসেছে।
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পারূল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তাদের মধ্যে হয়তো প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া কেন এত দূর থেকে ওই মেয়েটি ওখানে গিয়ে অনশনে বসবে। আমরা চাই বিষয়টির সুষ্ঠু একটা সমাধান করা হোক।
এবিষয়ে পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বলেন, সকাল থেকে রাত হয়ে গেল বিষয়টি আমি এখনো জানিনা। ঘটনাটি সত্য হলে বিষয়টি দেখা যাবে কি করা যায়।
বিএ/