1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
পালিত হচ্ছে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ০৮ জানয়ারী ২০২৫, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন

পালিত হচ্ছে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৫ মারচ, ২০২২

ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থায় ন্যায্যতা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস। আজ (১৫ মার্চ) বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। যদিও বাংলাদেশে প্রেক্ষাপটটি ভিন্ন। একদিকে সরকারের নির্ধারিত দামে ভোক্তারা পণ্য ক্রয় করতে পারছে না। অন্যদিকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিসহ কয়েকটি কোম্পানি থেকে প্রতারিত হয়ে ভোক্তারা যখন আদালতে তখন সরকার তা নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা একের পর এক।

ইতোমধ্যে ডিজিটাল বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (ডিবিআইডি) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে সারা দেশে সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এবং এফ-কমার্স সাইটগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে।

এদিকে শুধু অনলাইন কেনাকাটাতেই নয়, সশরীরে কেনাকাটাতেও বিভ্রান্ত হচ্ছে ভোক্তা। যেখানে আসল-নকল কিংবা দামের মারপ্যাঁচে প্রতিনিয়ত ক্রেতাকে ঠকানো হচ্ছে। অর্থাৎ সবখানেই ভোক্তা বঞ্চনার হার বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে।

থেমে নেই ভেজাল পণ্য বা ওষুধ বিক্রিও। নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ দেয়া হচ্ছে মানব খাদ্যে। অবৈধ প্রক্রিয়ায় মানহীন পণ্য উৎপাদন ও বিপণন চলছে সমানতালে। ক্রেতা-ভোক্তাকে আকৃষ্ট করা হচ্ছে মিথ্যা প্রলোভনের বিজ্ঞাপনে। ওজনে কারচুপি তো হচ্ছে। বিক্রি হচ্ছে নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে ১৯৬২ সালের সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কংগ্রেসে ভোক্তার স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে বক্তৃতা দেন। ভোক্তার চারটি অধিকার সম্বন্ধে তিনি আলোকপাত করেন। এগুলো হলো-নিরাপত্তার অধিকার, তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার, পছন্দের অধিকার এবং অভিযোগ প্রদানের অধিকার। ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ কেনেডি বর্ণিত চারটি মৌলিক অধিকারকে আরও বিস্তৃত করে অতিরিক্ত আরও আটটি মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করে। কেনেডির ভাষণের দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে দিনটিকে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস হিসাবে বৈশ্বিকভাবে পালন করা হয়।

বাংলাদেশে ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন করা হয়। এ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে ভোক্তা স্বার্থ তদারকিতে একই বছর গঠন করা হয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একই সঙ্গে আইনটি বাস্তবায়নের জন্য এ পর্যন্ত পাঁচটি বিধিমালা ও প্রবিধান তৈরি হয়েছে।

দেশব্যাপী ভোক্তা অধিকার আইন বাস্তবায়নের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২৯ সদস্যবিশিষ্ট সর্বোচ্চ ফোরাম হিসেবে কাজ করছে ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।’

এ ছাড়া সব জেলায় জেলা প্রশাসককে সভাপতি করে রয়েছে ১১ সদস্যের জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি। উপজেলা চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে আছে ১৮ সদস্যের উপজেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি। সব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে ২০ সদস্যের ইউনিয়ন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটিও কাজ করছে। এর বাইরে বেসরকারি উদ্যোগে আগে থেকেই কাজ করে আসছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব)।

অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২১ সালটি ছিল ই-কমার্স খাতে নানামুখী প্রতারণার ঘটনাবহুল বছর। ১৮টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকরা অভিযোগ আনে। তিন মাস পর অভিযুক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪১টিতে। একই সময়ে অভিযোগের সংখ্যা ২২ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

শুধু ই-কমার্স ওয়েবসাইট নয়, ফেসবুকভিত্তিক কমার্স সাইটগুলোর বিরুদ্ধেও উঠেছে অসংখ্য অভিযোগ। এসব অভিযোগের ৯০ শতাংশই আবার ঢাকা কেন্দ্রিক।

তারপরও দেশে ই-কমার্স জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাড়ছে ই-কমার্স সেবা ও অনলাইন কেন্দ্রিক লেনদেনের প্রবণতা। চলছে ই-কমার্স, অনলাইন রাইড শেয়ারিং, অনলাইন ফুড ডেলিভারি সিস্টেম, ই-টিকেটিং, বিভিন্ন সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট ও অ্যাপের বিক্রয়, মোবাইল ব্যাংকিংসহ অনলাইনে বিভিন্ন সেবা।
বিএ/

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST