সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকারবিবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পাবনা-১ এ আবু সাইয়িদের অভিযোগ ‘প্রশাসন একটি বিশেষ দলের সভাপতি-সেক্রেটারী হিসেবে কাজ করছে’

অনলাইন ভার্সন
ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮ ৯:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাবনা প্রতিনিধি :পাবনা-১ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ অভিযোগ করে বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত তার ওপর ১২ বার হামলা চালানো হয়েছে। নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। ভোট থেকে বিরত রাখতে নেতাকর্মী সমর্থকদের নানাভাবে হুমকী ধামকি দেয়া হচ্ছে। অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। প্রশাসন যেন একটি বিশেষ দলের সভাপতি-সেক্রেটারী হিসেবে কাজ করছে।

রোববার দুপুরে পাবনার বেড়া পৌর সদরে নিজের বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি। তার এসব অভিযোগের তীর ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ও তার কর্মী সমর্থকদের দিকে।
আবু সাইয়িদ বলেন, যাদের প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারা সক্রিয় আওয়ামীলীগ করে, দলীয় ক্যাডার ও নৌকার প্রার্থী টুকুর আত্মীয়-স্বজন। মোট কথা প্রিসাইডিং অফিসার দিয়ে ভোট কারচুপির অপচেষ্টা চলছে।

আবু সাইয়িদ অভিযোগ করেন, এখন পর্যন্ত একটাও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি, কোনো সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। হামলা-ভাঙচুরের বিষয়ে প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি তার উপর হামলার সাথে জড়িত একজনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী রাতদিন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চললেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা।

আবু সাইয়িদ বলেন, প্রত্যেক ইউনিয়নে ভুয়া আওয়ামীলীগের নির্বাচনী অফিস বানিয়ে তারা নিজেরাই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধানের শীষের কর্মী সমর্থকদের উপর দায় চাপাচ্ছে। পুলিশ সব জেনেও চোখ বুজে আছে। আওয়ামীলীগের নির্বাচনী অফিস মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য সহ পুলিশকে অভিযোগ দিলেও কোনো একটিরও তদন্ত হয়নি।
তিনি বলেন, ৫৫ বছর ধরে মানুষের সেবায় ব্রত রয়েছেন তিনি। চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। মানুষের সেবা করতেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন। জনগণের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণে সব ধরনের হামলা-মামলা উপেক্ষা করে কাজ করছেন তিনি। জনগনের মুক্তির মিছিল চলছে। সেই মিছিলে শামিল থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাইয়িদ। তিনি দাবি করেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে টুকু ১০ ভাগ ভোটও পাবেনা।

জামায়াতের প্রশ্নে আবু সাইয়িদ বলেন, এখন অনেক দলেরই অস্তিত্বের লড়াই চলছে। কে কোথায় ভোট দিবে তারাই ঠিক করুক কি করবে। হোক সেটা বিএনপি কিংবা জামায়াত। অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে সবাই এক হবে বলে মনে করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপক্ষে নির্বাচন অনুষ্ঠানে এবং জনগনের ভোটাধিকার প্রয়োগে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন আবু সাইয়িদ।

সাইয়িদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেন, উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্থ এবং ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার চক্রান্ত চলছে। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নিশ্চিত পরাজয় জেনে নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ও বানচালের ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি গণফোরামে যোগ দিয়ে তথাকথিত ঐক্যফ্রন্ট’র প্রার্থী হিসেবে জামায়াতকে ল্যাং মেরে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছেন। জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাকে বয়কট করবে বলে দাবি করেন টুকু।

খবর ২৪ঘণ্টানই

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।