এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর আগে পাবনার নয়নামতি মহল্লার বাসিন্দা আলাই বিশ্বাসের ছেলে মোমিন হোসেন (২০) এর সাথে বৃষ্টির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বৃষ্টির উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল মোমিন। নির্যাতন সইতে না পেরে প্রায় বছর খানেক আগে ক্ষুদ্র মাটিয়াবাড়ি বাবার বাড়িতে চলে আসে বৃষ্টি।
মাঝেমধ্যে বৃষ্টিকে বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নানা ফাঁদ পাতে মোমিন। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য বৈঠকও হয়। কিন্তু তাতে কোন ফল না আসায় ক্ষিপ্ত হয় মোমিন। এরই ধারাবহিকতায় শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি সাদা প্রাইভেট কারে করে কয়েকজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে বৃষ্টির বাড়িতে যায় মোমিন।
এসময় বৃষ্টিকে একা পেয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় সে।
চিৎকারে স্থানীয়রা আহত বৃষ্টিকে দ্রæত উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্স করে ঢাকায় নেওয়ার পথে বেলা ৩টার দিকে মারা যায় বৃষ্টি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবাইদুল হক জানান, গৃহবধু বৃষ্টির মৃত্যুর খবর আমরা শুনেছি। ঢাকায় নেয়ার পথে মারা গেছে। মরদেহ পাবনায় আসার পর আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।