খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: পাবনায় এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশী হিন্দু যুবক। গত শুক্রবার সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের হেমরাজপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষনের শিকার শিশুটি হেমরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তয় শ্রেণির ছাত্রী।
শুক্রবার এ ঘটনা ঘটলেও প্রভাবশালীদের অনুরোধে মামলা দায়ের করতে দেরি করেন শিশুটির বাবা। ঘটনার দু দিন পর রোববার সন্ধ্যায় তিনি বাদি হয়ে সুজানগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ শনিবার অভিযুক্ত জয়দেব কুমার দাস (২৫)কে আটক করার পরও তাকে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
পাবনা সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শরিফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। প্রাথমিক পর্যায়ে ভিকটিমের পরিবার বিষয়টি থানাকে জানাতে চায়নি। বিষয়টি সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পরলে আমরা নির্যাতিত শিশুটির পরিবারকে থানাতে নিয়ে আসি। নির্যাতিত শিশুটির পরিবার ও ভিকটিমের সাথে কথা বলেছি। শিশুটির বাবা বাদি হয়ে রোববার সন্ধ্যায় থানায় ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়েছে এই মর্মে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আমরা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অভিযুক্তকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।
শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশে বড়ই বাগানে প্রতিবেশি জয়দেব কুমার দাস শিশু মেয়েটিকে একা পেয়ে জোর করে ধর্ষন করে এবং মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে মেয়েটির গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরন দেখে মা জিজ্ঞাসা করলে মেয়েটি সব খুলে বলে।
মেয়েটির বাবা ঘটনাটি স্থানীয় ভায়না ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাছে জানালে তিনি মীমাংসার কথা বলেন। একপর্যায়ে ঘটনাটি জানাজানি হলে শনিবার সুজানগর থানার উপ-পরিদর্শক অর্জুন কুমার প্রাথমিক তদন্তে এসে সত্যতা পেয়ে ধর্ষক জয়দেব কুমার দাসকে আটক করে। এসময় প্রভাবশালী কয়েকজন সামাজিকভাবে সমঝতার কথা বলে ধর্ষককে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেন।
কিন্তু দরিদ্র ভ্যান চালক মেয়েটির বাবা পুলিশের কাছে যেতে চাইলেও তারা তাকে বাধা দেয়। শেষমেশ মেয়েটির বাবা রোববার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পাবনা সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শরিফুল আলম জানান, থানায় অভিযোগ এসেছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন