পাবনায় প্রেমিকের বিয়ের কথা শুনে প্রেমিকার আত্মহত্যা ঘটনায় থানায় মামলা। আজ শনিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে সুমাইয়ার মা জীবন্নাহার বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে সাঁথিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বরাত দিয়ে জানা যায়, পাবনার সাঁথিয়ায় প্রেমিকের বিয়ের খবর শুনে তার ওপর অভিমান করে সুমাইয়া নামে ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। পরে ওই ছাত্রীর বিছানার নিচ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের চরকলাগাছী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চরকলাগাছী গ্রামের আলিমুদ্দিনের ইন্টারমিডিয়েট পড়ুয়া ছেলে মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের (২৫) সঙ্গে প্রায় দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল একই গ্রামের বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সৌদি প্রবাসী আবু মুসা শেখের মেয়ের। ঘটনার দিন অর্থাৎ শুক্রবার অন্যত্র বিয়ের জন্য আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে মেয়ে পক্ষের লোক আসে দিন-তারিখ ঠিক করার জন্য। বিষয়টি সুমাইয়া জানতে পেরে প্রেমিকের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করে এবং আত্মহত্যার আগে বিছানার নিচে একটি চিরকুট লিখে রেখে যায়। চিরকুটে লেখা ছিল “চিরতরের জন্য চলে গেলাম পরপারে। অসময়ে আমার মৃত্যুর জন্য রাজ্জাক দায়ি। তাকে কোনদিন ক্ষমা করব না। আশা দেখিয়ে নিরাশা করেছে। বিদায় বিদায় বিদায়…।”
মৃত সুমাইয়ার মা জীবন্নাহার বলেন, ঘটনার দিন রাত আটটার দিকে আমার মেয়ে আমাকে তার কানের দুল আনতে পাশের বাড়িতে পাঠালে আমি সেখানে যাই দুল আনতে। পরে বাড়িতে এসে দেখি আমার মেয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় আছে। কথাগুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মেয়ের আত্মহত্যার জন্য আব্দুর রাজ্জাকই দায়ী। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
সাঁথিয়া থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মােহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। আসামি আটকের চেষ্টা চলছে। সুইসাইড নোটটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
বিএ/