নিজস্ব প্রতিবেদক :
পাবনার চাটমোহরে শিশু আবদুল্লাহ আল নুর (৪) হত্যা মামলার রায়ে একজনের ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনারের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন, চৌধুরী পাড়ার নজরুল ইসলাম বিশ্বাসের ছেলে সোহলে বিশ্বাস। এছাড়াও তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড প্রদান করা হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হলেন, শিশুর ফুফা নতুন বাজার মহল্লার আ. সামাদ (৫০)। সামাদ এই হত্যাকাণ্ডে মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন। এ মামলার আরো তিন আসামী কবির হোসেন (২৫), আড়িংগাইল গ্রামের আয়শা বেগম (৬৫) ও আজিজা আক্তার রূপাকে বেকসুর খালস দেয় আদালত।
শিশুর পিতা ও মামলার বাদী আবুল হোসেন এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, হত্যার সময় সোহেল বিশ্বাসের স্ত্রীও ছিলো। তাকে খালস দেওয়া হয়েছে। মূল পরিকল্পনাকারী সামাদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এতে তিনি উ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।
রায়ের সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন, অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালের ২৫ জুন সকালে নিখোঁজ হয় চাটমোহর পৌর সদরের হারান মোড় মহল্লার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. আবুল হোসেনের ৪ বছরের শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ্ আল নুর। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে স্বজনরা পুলিশসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা চান। পাশাপাশি শিশুর সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিংও করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুর বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে একই দিন রাতে তার বাড়ির ভাড়াটিয়া সোহেল বিশ্বাসকে প্রধান অভিযুক্ত করে তার স্ত্রীসহ ছয়জনকে আসামি করে চাটমোহর থানায় মামলা দায়ের করেন।
নিখোঁজের দুই দিন পর উপজেলার ভাদড়া খেলার মাঠের দক্ষিণ পাশে জলমগ্ন আবাদি জমি থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় নূরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ওই দিনই হত্যায় জড়িত সন্দেহে আবুল হোসেনের বাড়ির নিচতলার ভাড়াটিয়া সোহেল বিশ্বাসকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর ২৪ঘন্টা/এম কে