খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়েছে। গোলাগুলিতে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ সেনাসহ মোট ১০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ভারতের ৫ ও পাকিস্তানের ৩ সেনা এবং পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে ২ বেসামরিক নাগরিকে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য মতে, জম্মু ও কাশ্মীরে চলমান পরিস্থিতি থেকে মনযোগ সরিয়ে নিতে লাইন অব কন্ট্রোল সংলগ্ন অঞ্চলে গোলাগুলি বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এতে ৩ পাকিস্তানি সেনার মৃত্যু হয়েছে। ভারতীয় পক্ষের গুলির জবাবে পাল্টা গুলি চালিয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এতে ৫ ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে।
যদিও ভারতীয় সেনা নিহতের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
এদিকে, পাকিস্তান-শাসিন কাশ্মীরের স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে অন্তত ২ বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির নির্দেশ জারির মাধ্যমে মোদি সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ এবং কাশ্মীর ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামের দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে।
ভারতের এসব পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে ৭ আগস্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি (এনএসসি) পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো- ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করা, দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করা; পাকিস্তান-ভারতের দ্বিপক্ষীয় কর্মসূচিগুলো পর্যালোচনা করা; বিষয়টি জাতিসংঘে নিয়ে যাওয়া এবং আগামী ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি জানানো এবং ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালন করা।
এছাড়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূতরা আর নয়াদিল্লিতে থাকবেন না এবং তাদের রাষ্ট্রদূতদেরকে ফেরত পাঠানো হবে।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন