গভীর রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা এবং পুলিশের দায়ের করা মাদকের মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে মুখ খুললেন ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ। ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় তিনি মুক্তি পান। এরপর তিনি বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বড় রকমের ভিকটিম হলাম। কোনো দিন হাজত দেখিনি। রিমান্ডে ১২ দিনসহ ১৮ দিন জেল-হাজতে কাটিয়েছি। সত্যিকারে অন্যায় করলে আফসোস ছিল না। আশা করি তদন্তকারী সংস্থা সঠিক বিষয়টি তুলে আনবে।’
জাতীয় পার্টির এই প্রেসিডিয়াম সদস্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের নির্বাচিত জিএস ছিলাম। ঢাকার প্রথম বিভাগের ফুটবলার ছিলাম। উত্তরা ক্লাবের ৩ বার সভাপতি ছিলাম। একজন ব্যবসায়ী। আমাকে আটক করার পরও কেউ আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি। একজন সেলিব্রেটির অভিনয়ে আমি সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলাম।’
বিমানবন্দর থানায় পুলিশের করা মাদকের মামলা থেকে নাসির ইউ মাহমুদ গত বুধবার (৩০ জুন) জামিন পান। আগের দিন মঙ্গলবার (২৯ জুন) একই আদালত পরীমণির দায়ের করা ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ১৩ জুন রাতে নিজের ফেসবুক পেজে নিজেকে ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন পরীমণি। বিচার চেয়ে আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী বরাবর। পরেরদিন সোমবার সাভার থানায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ঢাকা বোট ক্লাবের এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি ব্যাবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ অজ্ঞাত ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন পরীমণি। এদিনই নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ ৫ জনকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তাদের সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত বাকি ৩ নারী হলেন- লিপি আক্তার, সুমি আক্তার ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা।
একই দিন বিমানবন্দর থানায় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করে।
জেএন