1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে পরিবহন বন্ধ - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন

পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে পরিবহন বন্ধ

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২০ মারচ, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত যাদের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হয়েছে তারা মাদারীপুর, ফরিদপুর এবং শিবচরের। এসব এলাকায় তুলনামূলকভাবে বেশি আক্রান্তের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বিদেশে এ করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার সময় অনেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন।

ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ১৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে সংক্রমণ রোধে সারাদেশে বাস, ট্রেন ও নৌ চলাচল বন্ধ করে দেবে সরকার।

এমনটায় বলছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা প্রতিটি ট্রেন ও স্টেশনে সতর্কতা ব্যবস্থা নিয়েছি। এই মুহূর্তে কমলাপুর, বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেটসহ বড়বড় রেল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশ করার আগে হ্যান্ড মেশিনে যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে, তারপর ট্রেনে উঠতে বলা হচ্ছে। এসব স্টেশনগুলোতে চিকিৎসকসহ রেলওয়ে স্টাফরা সহযোগিতা করছেন।

ট্রেনগুলো জীবাণুমুক্ত করতে যাত্রী ওঠার আগে আসন ও হাতলগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে দাবি করে বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে মন্ত্রী বলেন, ‘ট্রেনগুলো জীবাণুমুক্ত করতে পর্যাপ্ত জীবাণুনাষক ওষুধ নেই। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলা হবে। ট্রেনে যাতায়াত করার আগে যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করার জন্য আহ্বান করা হচ্ছে। সচেতনতা সৃষ্টিতে স্টেশনে স্টেশনে মাইকিং করা হচ্ছে।

রেলপথমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ যদি খুবই খারাপ অবস্থায় যায়, তখন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি বাসে যাত্রী চলাচলে সতর্ক করা হচ্ছে। প্রতিটি বাস মালিককে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের এখন প্রতিটি বাস জীবাণুম্ক্তু করে যাত্রী পরিবহন করতে বলা হবে। প্রয়োজনে আন্তজেলা যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, পরিবহন মালিকরা হতাশ প্রকাশ করেছেন, তাদের যাত্রী কমে গেছে। এগুলো অটোমেটিকালি কমে যাবে। পরিস্থিতি কমিয়ে ফেলবে। তারপরও যদি প্রয়োজন হয়, আমরা ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বাস পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্লাহ বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আন্তজেলা বাস সার্ভিসে প্রতিটি বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রেখেছে, সাথে টিস্যু পেপারও রাখা আছে। যেসব যাত্রী গাড়িতে উঠবে তারা আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করবে।

এ বিষয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি নৌ বন্দর ও স্টিমারে গত ১ মাস আগে থেকেই সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছি।

সদরঘাটসহ প্রতিটি স্টিমারে মেডিকেল টিম আছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে প্রতিটি স্টিমার আমরা জীবাণুমুক্ত রাখতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতোমধ্যে সকল স্টিমার মালিকদের সাথে মিটিং করে নির্দেশনা দিয়েছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যদি কারও জ্বর, সর্দি ও কাশি থাকে তাহলে কোনো ধরনের ট্রান্সপোর্ট (গণপরিবহন) ব্যবহার করা যাবে না। সর্দি কাশি মুক্ত হলে ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি পরিবহন- বাস, ট্রেন ও স্টিমার যাত্রী পরিবহনের আগে অবশ্যই পরিবহন জীবাণুমুক্ত করতে হবে। পরিবহন জীবাণুমুক্তকরণ ছাড়া যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। যে সকল যাত্রী গণপরিবহন ব্যবহার করবেন তাদেরকে অবশ্যই হাত হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হ্যাক্সাসল দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে গাড়ি বা ট্রেন ও স্টিমারে উঠতে হবে।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST