নিজস্ব প্রতিবেদক
গতকাল ১০ মে সকাল অনুমান সাতটার দিকে রাজশাহীর বাগমারা থানাধীন গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ সাজুরিয়া গ্রামের পূর্ব পার্শ্বে যশের বিলে মনিরুল ইসলামের পুকুরের পশ্চিম পাড়ে একটি টিনের ঘরের মেঝেতে গলায় রশির ফাঁসের দাগ ও রক্তাক্ত অবস্থায় আব্দুস সালামের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার দক্ষিণ সাজুরিয়া গ্রামের সাহাবুলের ছেলে। পরে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী বাগমারা থানায় হত্যা সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য মৃত আব্দুস সালাম যশের বিলে মনিরুল ইসলামের পুকুরে পাহারাদার হিসেবে কাজ করত। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে পুলিশ সুপার মো: শহিদুল্লাহ বিপিএম, পিপিএম এর দিকনির্দেশনায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে থানা পুলিশ। তদন্তের এক পর্যায়ে গোপন সূত্রে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সদর সার্কেল) সুমন দেবের নেতৃত্বে পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত শিরিন
বেগম(৩৫) নামের এক নারীকে আটক করে। ওই নারী উপজেলার হাট গোয়ালকান্দি গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে। আজ ১১ মে আটক নারী হত্যাকান্ডের বিষয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জল মাহমুদের আমলী আদালত- ২ এ ফোজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। মূলত অবৈধ সম্পর্কের জের ধরে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় দুই বছর ধরে তালাকপ্রাপ্ত শিরিন বেগমের সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আব্দুস সালাম অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু শিরিন বিয়ের কথা বললে সালাম কৌশলে এড়িয়ে যেত।
গত ৯ মে যশের বিলের মনিরুলের পুকুর পাড়ের একটা ঘরে রাত অনুমান সাড়ে ১০ টার দিকে সালাম ও শিরিন শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। পরবর্তীতে শিরিন বিয়ের কথা বললে সালাম রাগান্বিত হয় ও তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে শিরিন কাঠের বাটাম দিয়ে সালামের মাথায় জোরে আঘাত করে ও পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা শিরিনের পরিচিত বাগমারা থানাধীন কেফা, সেলিম ও রুস্তম নামক তিনজন ব্যক্তি এ হত্যাকান্ডে অংশ নেয়। তারা সালামের মাথায় আঘাত করে ও গলায় রশির ফাস দেয়। শিরিনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এমকে