নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে ধানের শীষের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নৌকার প্রতীকের সমর্থকদের দ্বারা নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও কর্মীদের হয়রানির অভিযোগ করেছেন বিএনপি প্রার্থী এ্যাড. শফিকুল হক মিলন। মঙ্গলবার রাজশাহী মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হক ডিকের স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অভিযোগে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ডিসেম্বর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়র নাজিমুদ্দিন নবির বাড়িতে আনুমানিক রাত ১২টার দিকে তল্লাশীর নামে হয়রানি করেছে পুলিশ। একই দিন নওহাটা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আজহার আলীকে আনুমানিক রাত ২টার দিকে আটক করেছে পুলিশ। নওহাটা পৌরসভার শ্রীপুর গ্রামে জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আজাদ আলীর বাড়িতে রাত ১টার দিকে ককটেল বিস্ফোরণ এবং নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করেছে নৌকা নৌকা প্রতীকের
সমর্থকরা। নওহাটা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। নওহাটা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড বারইপাড়া গ্রামের বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। নওহাটা পৌরসভার দুয়ারী গ্রামের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেছে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। এ ছাড়া গত ডিসেম্বর আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের জাগিরপাড়া গ্রামে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ইয়াসিন ও তার ২ ছেলে ফয়সাল, হাবিব ও যুবলীগ নেতা আরিফের নেতৃত্বে জামাল, হিমেল, ইব্রাহিম, বাবু (রনহাট), শহিদ সহ নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা ধানের শীষ প্রতীকের প্রচার গাড়ি ভাংচুর করে এবং প্রচারকৃত কর্মীকে মারধর করে। ২৪ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত ১০টায় হরিয়ান ইউনিয়নের ৫নং
ওয়ার্ড আশরাফের মোড়ের ধানের শীষের নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হরিয়ান ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড উখন্ডি গ্রামের ধানের শীষের নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করা হয়েছে। দামকুড়া হাটের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেছে এবং ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের পোষ্টার, ফেস্টুন কেটে ফেলেছে ও নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় তল্লাশীর নামে হুমকি এবং নির্বাচনী প্রচারণায় পুলিশ পরিচয়ে বাধা দিচ্ছে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা।
খবর ২৪ ঘন্টা/আরএস