খবর২৪ঘণ্টা,আন্তর্জাতি ডেস্ক: শেষতক পদ ছেড়ে দিলেন হোয়াইট হাউসের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা হোপ হিকস। ২৯ বছর বয়সী হোপ হিকস ঠিক কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে ব্যাপারে কিছু জানাননি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সকে হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র এই তথ্য দেন।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতা থাকার বিষয়ে সন্দেহ যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। বেশ কিছুদিন ধরেই এ নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের অংশ হিসেবেই হোপ হিকসকে টানা ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে হোয়াইট হাউস গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। জিজ্ঞাসাবাদের ঠিক একদিন পরই সাবেক এই মডেল হোয়াইট হাউসের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তার পদটি ছেড়ে দেন।
হোয়াইট হাউসে হিকসের ঘনিষ্ঠ এক সহকর্মী জানান, পদত্যাগের বিষয়ে প্রেসিডেন্টের সম্মতি পেতে হিকসকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। হিকস প্রেসিডেন্টকে বলেন, হোয়াইট হাউসকে যা দেওয়ার তার সবটুকুই তিনি দিয়েছেন। এবার তিনি এখান থেকে বিদায় নিতে চান। যাতে হোয়াইট হাউসের বাইরে নতুন কিছু করতে পারেন।
এ বিষয়ে আপাতত মুখ না খুললেও খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে সব জানাবেন বলে হিকসের ঘনিষ্ঠজনদের অনেকে জানান। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিকস ট্রাম্পের প্রেস সচিব এবং মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ট্রাম্পের সবচেয়ে পুরানো এবং বিশ্বস্ত সহকর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কার বন্ধুও ছিলেন হিকস। এক সময় ট্রাম্পের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা হিকসকে নির্বাচনী প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ওই পদটি দেয়া হয়েছিল।
হোয়াট হাউসে হিকসের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তার পদ নিয়ে অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করে আসছিলেন। বলা হতো, যোগ্যতার তুলনায় হিকস অনেক ভালো পদ দখল করে আছেন। তাঁকে বেশ কয়েকবার হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা রব পোর্টারের সঙ্গে বিশেষ মুহূর্তে দেখা গেছে। এই পোর্টারের বিরুদ্ধেই পারিবারিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে এক সময়। পোর্টারের দুই সাবেক স্ত্রী অভিযোগটি করেন। অভিযোগের পর তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। সেসময় হিকস পোর্টারের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছিলেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ