নওগাঁর পত্নীতলায় কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক নারী ব্যবসায়ীকে দোকানে প্রবেশ করে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে অপর দোকানের এক বিক্রেতাসহ তার সহযোগীরা । এ নিয়ে নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এ মামলা দায়ের করেছেন ওই নারী ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় ওই নারীর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছরেরে ৩ মার্চ বুধবার দুপুরে উপজেলা সদর নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার সাপাহার সড়কের আহসান মার্কেটে। এ ঘটনায় পতœীতলা থানা পুলিশ শনিবার ১ জনকে আটক করেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার সাপাহার সড়কের আহসান প্লাজা মার্কেটে নজিপুর পলিপাড়া এলাকার আঃ সালামের স্ত্রী সালমা ফ্যাশনের সত্বাধিকারী অন্তসত্বা রহিমা আক্তার (২৬)কে একই মার্কেটের তরিকুল ইসলামের দোকান স্বপ্নপূরী ফ্যাশনের সেলসম্যান ধামইরহাট উপজেলার খেলনা গোপীরামপুর এলাকার মৃত ময়েজ উদ্দীনের ছেলে জনৈক রবিউল ইসলাম (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব ও বিয়ের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন অশোভন ইঙ্গিত দিয়ে আসছিল। এরই এক পর্যায় গত ৩ মার্চ দুপুর ২টার দিকে রবিউল ইসলাম নজিপুর মাদ্রাসা পাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে গণি (৩১), মান্দা উপজেলার নুরুল্লাবাদ এলাকার আজিজ প্রামানিকের ছেলে নাজমুল প্রামানিক (৩৪) ও ধামইরহাট উপজেলার চকশরিফ এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৮)এর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সালমা ফ্যাশনের দোকান ঘরে ঢুকে রহিমার মুখ চেপে ধরে মুখে গামছা বেঁধে মেঝেতে ফেলে পড়নের বোরকা ও কামিজ টেনে ছিড়ে ফেলে এবং জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ সময় রহিমা নিজেকে বাঁচাতে চিৎকার করতে থাকলে রবিউল সহ তার সঙ্গিয়রা রহিমাকে কিল, ঘুষি ও তলপেটে লাথি মেরে পালিয়ে যায়। পরে অন্যান্য দোকানীরা রহিমার স্বামী আঃ সালামকে খবর দিলে তাদের সহযোগীতায় তাৎক্ষনিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে ২দিন চিৎিস্যাধীন থাকা অবস্থায় চিকিৎসক জানায় রহিমার গর্ভের সন্তানটি ঘটনায় নষ্ট হয়ে গেছে।
রহিমা নজিপুর বাসস্ট্যান্ড বনিক কমিটি বরাবার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা না পাওয়ায় গত ১৯মে/২১ বুধবার নওগাঁ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এ মামলা দায়ের করে। এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত হাবিবুর রহমান জানান, মামলার প্রেক্ষিতে শরিবার প্রধান আসামী রবিউলকে আটক করা হয়েছে। অপর আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে ওই নারীর স্বামী আঃ সালাম জানান, বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন বিচার না পাওয়ায় আদালতের সরনাপন্ন হয়েছি। এদিকে মামলার পর থেকে আসামী সহ তাদের সহযোগীরা আমার পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি প্রদান করছে।
এস/আর