খবর২৪ ঘণ্টা. ডেস্ক: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হবে। এগুলো হলো ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন এবং ২০১৮ সালের শেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এর মধ্যে মামলার রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের সাজা হলে এবং তিনি নির্বাচনে ‘অযোগ্য’ হলে দলের অবস্থান কী হবে, বৈঠকে ঘুরে ফিরে সে আলোচনাই প্রাধান্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে দলটি দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, আন্দোলন ও নির্বাচন—দুই ধরনের প্রস্তুতি নিতে নেতাদের নির্দেশনা দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পাশাপাশি নিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ‘নেতিবাচক’ হলে সহিংস প্রতিক্রিয়া না দেখানো ও ধৈর্য ধারণের জন্য নেতা–কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাবেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
কাল বিএনপির বর্তমান জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রথম সভা রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে। এতে দলীয় চেয়ারপারসন সভাপতিত্ব করবেন। তিনি নেতাদের বক্তব্য শোনার পাশাপাশি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে নেতাদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেবেন।
নাম না প্রকাশের শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতির গতি–প্রকৃতি সম্পর্কে নেতাদের একটা ধারণা দেওয়া হবে। বৈঠকে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ধারণা নিয়েও আলোচনা হবে। ওই নেতারা বলেন, সবকিছু হয়তো একেবারেই পরিষ্কার করে বলা হবে না। তবে মাঠের নেতাদের মনোভাব সম্পর্কে জানান চেষ্টা করা হবে।
ওই দুই সদস্য বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে যাবে না, এমন কথা বলবে না। তাঁরা মনে করেন, সরকার বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচন করতে চায়। এবার বিএনপি সেই ফাঁদে পা দেবে না। এ কারণে নিরপেক্ষ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নেতাদের আহ্বান জানানো হবে।
বিএনপির দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নির্বাহী কমিটির বৈঠকে দলের ৭০০ নেতা উপস্থিত থাকবেন। এর মধ্যে নির্বাহী কমিটির সদস্য ৫০২ জন। এ ছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলার সভাপতিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।সুত্র: প্রথম আলো
খবর ২৪ ঘণ্টা.কম/ জন