নিজস্ব প্রতিবেদক :
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ফাঁকা হতে শুরু করেছে শিক্ষানগরী রাজশাহী। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার দিনভর রাজশাহীর বাইরের ভোটাররা বিভিন্ন যানবাহনে করে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তবে দুপুরের পর থেকে মানুষজনের বাড়ি যাওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। সরজমিনে রাজশাহী মহানগরীর বাস টার্মিনাল ও সিএনজি স্টেশনগুলোতে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা গেছে। অনেক যাত্রীকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। বাসের জন্য মানুষের ভিড়ও ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি। এ ছাড়া আজ বৃহস্পতিবার সরকারী শেষ অফিসের দিন ছিল। শুক্রবার ও শনিবার সরকারী অফিস ছুটির দিন এবং রোববার ভোটের কারণে সরকারী ছুটি। এ জন্য মানুষ বাড়ি যাওয়ার চন্য টেন স্টেশন ও বাস টার্মিনালগুলোতে ভিড় জমায়। শীতকালীন ছুটির কারণে
বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আগেই শিক্ষার্থীরা নগর ছেড়ে চলে যায়। এ কারণে রাজশাহী মহানগর এখন অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। মানুষজন নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্যও বাড়িতে যাচ্ছেন। উদ্দেশ্য পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করা। রাজশাহী ভদ্রা মোড়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করা ফাহিমা নামের এক কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছি ভালোই লাগছে। সেই সাথে এবারই প্রথম ভোট। ভোট দিতে পাবো বলে আরো ভালো লাগছে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে চাই। আরেক যুবতী রাহিমার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এবার প্রথম ভোট। ভোট দিতে চাই সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষকে। যার কাছে দলমত নির্বিশেষে সবাই বিপদ-আপদে গিয়ে সাহায্য পাবে। এমন নেতাকে নির্বাচিত করতে চাই না
যারা ভোটের পর জনগনকে ভুলে যায়। সেলিম নামের এক যুবক বলেন, আমি কলেজে পড়ি। এবারই প্রথম ভোট। ভোট দিতেই বাড়ি যাওয়া। ভাল মানুষকেই ভোট দিতে চাই। শুধু ভদ্রাই নয় নগরীর শিরো বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন, রেলগেট বাস স্ট্যান্ড ও সিএনজি স্ট্যান্ডে গিয়ে একই চিত্র দেখা গেছে। তবে বেশির ভাগ মানুষের উদ্দেশ্য ভোট দেওয়া। তার সবাই সুষ্ঠ ও নিরাপদে নিজের ভোট প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেত চান। নাগরিকরা যাতে সুষ্ঠভাবে ভোট দিয়ে নিরাপদে ফিরতে এ জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান তিনি।
খবর ২৪ ঘন্টা/আর