1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
নির্বাচনের সময় আপনি ধার্মিক হয়ে যান : রিজভী - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন

নির্বাচনের সময় আপনি ধার্মিক হয়ে যান : রিজভী

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১৮
khobor24ghonta.com

খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান দভোটারবিহীন’ সরকারকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বিএনপির বিরুদ্ধে ডাহা মিথ্যাচার করছেন। তিনি নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে নৌকায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন, গতকালও চাঁদপুরে সরকারি টাকা ব্যয়ে জনসভা করে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছেন যা আইনের সুষ্পষ্ট লংঘন।

এদিকে বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগরের থানায় থানায় এবং দেশব্যাপী মহানগর ও জেলা সদরে বিএনপি ঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে আমি দলের পক্ষ থেকে আহবান জানান রিজভী।

আজ সোমবার সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, আপনারা দেখেছেন গত দুদিন আগে গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন। দুটি নির্বাচনই দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হবে। ফলে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের যে প্রান্তেই নৌকার পক্ষে ভোট চান না কেনো তা ঘোষিত তফসিলের মধ্যে পড়ে। এবং সেটা নির্বাচন আচরণ বিধিমালার সুষ্পষ্ট লংঘন।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেহেতু বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর বন্দুকের নলই হচ্ছে তাঁর ক্ষমতার ভিত্তি, তাই তিনি সব কিছুই করতে চাচ্ছেন হুংকার আর ধমক দিয়ে। সকল আইন, নিয়ম নীতি ভেঙ্গে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন’।

রিজভী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দশে বলেন, তিনি বলেছেন ভোট চাওয়া তাঁর রাজনৈতিক অধিকার তাহলে দলের সভানেত্রী হিসেবে ভোট না চেয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভোট চাচ্ছেন কেনো? প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, সরকারি টাকা খরচ করে, সরকারি হেলিকপ্টার নিয়ে সরকারী সার্কিট হাউস ব্যবহার করে এবং গন্তব্যস্থলে সরকারী গাড়ী ব্যবহার করে, সরকারী সকল প্রটোকল নিয়ে ভোট চাওয়া কোন ধরণের রাজনৈতিক অধিকার জনগণ তা জানতে চায়।

রিজভী বলেন, এসব দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের, কিন্তু ক্ষমতাসীনদের নির্বাচনী আইন ভঙ্গের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ‘রিপভ্যান উইংকেল’ এর মতো দীর্ঘ নিদ্রায় শায়িত থাকে। যে প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয় তাঁর মুখে ভোট চাওয়া জনগণের সাথে ইয়ার্কি-তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।

তিনি বলেন, এই সরকারের না প্রধানমন্ত্রী, না জাতীয় সংসদের স্পীকার, না তথাকথিত বিরোধী দলের নেত্রী কেউই জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা কেউই নিজেরা নিজেদেরকে ভোট দিতে যায়নি। ওদের কাছে জনগণ একটি আতঙ্কের নাম। আর এই কারণেই অনাচারের ওপর নির্ভর করে দেশ চালাচ্ছে। জবাবদিহিতা নেই বলেই এদের আমলে ঘটেছে বৃহত্তর আর্থিক কেলেঙ্কারী।

রিজভীর অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিসহ ছাত্র-যুবক-শ্রমিক-পেশাজীবী-মানবাধিকার কর্মী গুম হয়েছেন অজানা রাজ্যে। আইনবহির্ভূতভাবে হত্যা লীলায় সারা বাংলাদেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে করা হয়েছে আওয়ামী ইশতেহারের অধীন। দমনের খড়গ ঝুলিয়ে গণমাধ্যমের সকল আলো প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র নিজের দিকেই টেনে নিয়েছেন।

রিজভী বলেন, গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী চাঁদপুরের এক জনসভায় বলেছেন-নুহ নবীর সময় এই নৌকা সবাইকে বিপদ থেকে রক্ষা করেছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এটা সকলেই জানে-নির্বাচনের সময় আপনি ধার্মিক হয়ে যান। হেফাজতের রক্তাক্ত ঘটনার কথা মানুষ এখনো ভুলে যায়নি। সরকারী ফরমান জারি করে জুম্মার নামাজে মসজিদে মসজিদে খুৎবা পরিবর্তন করা হয়েছে। দাড়ী-টুপি দেখলেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কিভাবে মসজিদে মসজিদে ঢুকে নামাজরত বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

কিভাবে মসজিদের ইমাম সাহেবদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে আওয়ামী চেতনায় মোনাজাত করতে। আওয়ামী লীগ ছাড়া বিরোধী দলীয় কেউ যদি মারা যায় বা মৃত কারো নামে দোয়া চাওয়া হয়, তাহলে ইমাম সাহেবদেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। অথচ সেই প্রধানমন্ত্রী ধর্মীয় কাহিনী বলে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন।

রিজভী বলেন, ম্যাকিয়াভেলী ঠিকই বলেছেন-শাসক (প্রিন্স) এর বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে ‘ধর্ম, ধাপ্পা ও বলপ্রয়োগ’। আমাদের দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এই তিনটি বৈশিষ্ট্য খুব যোগ্যতার সাথেই আয়ত্বে নিয়েছেন। ধার্মিক না হয়েও দেশ শাসনে ধর্মের ব্যবহার করা, ধাপ্পাবাজি দিয়ে মানুষের মন জয় করতে বিভ্রান্ত করা, আর তা না হলে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের বশ্যতা আদায় করা-ম্যাকিয়াভেলীর এই চাতুর্যগুলো প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতি ও দেশশাসনের নীতি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন লিফলেট বিতরণ শুরু করলে পুলিশ ব্যাপক বাধাদান করে। মিরপুরে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু লিফলেট বিতরণে অংশ নিলে পুলিশ প্রথমেই বাধা দেয়। পরে তিনি স্থান পরিবর্তন করে লিফলেট বিতরণ করেন।

এছাড়া বাগেরহাট জেলাধীন মোল্লারহাট উপজেলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল লিফলেট বিতরণের সময় আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ এর ওপর হামলা চালায় এবং তার গাড়ী ভাংচুর করে।

এভাবে কুমিল্লা, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলে লিফলেট বিতরণের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা বাধা প্রদান করেছে। আমি দলের পক্ষ থেকে বিএনপি’র এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা বাধা প্রদানের ঘটনায় ধিক্কার জানাচ্ছি, প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST