কঠোর নিরাপত্তার মাঝেই সদ্যবিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা স্থানীয় সময় রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্য থেকে ওয়াশিংটন পর্যন্ত সমাবেশ করেছে। এসময় ট্রাম্প সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শহরে সশস্ত্র মহড়া দিয়েছে।
গত ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকদের ক্যাপিটল ভবনে মার্কিন কংগ্রেসে হামলার পর সোশাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের উস্কানিমূলক পোস্টের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষিদ্ধ করা হয় ট্রাম্পকে। এরপর থেকে কোনো সাড়া মিলছে না ট্রাম্পের। তবে গতকাল হোয়াইট হাউজ থেকে তার আসবাবপত্র সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। এর আগে ওয়াশিংটন ডিসির পাশাপাশি ৫০টি অঙ্গরাজ্যে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। বিভিন্ন স্থানে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
আগামী বুধবার (২০ জানুয়ারি) নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথ গ্রহণ করবেন। এদিন ওয়াশিংটন ডিসিতে নিরাপত্তার কথা ভেবে ২৫ হাজার জাতীয় গার্ড মোতায়েন করেছে দেশটির প্রশাসন। হোয়াইট হাউজ এলাকায় গার্ডদের অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে এবং নগরীতে তল্লাশী ছাড়া কারো প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। মূলত ট্রাম্পের উগ্রবাদী সমর্থকদের জন্য এমন কঠোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ভার্জিনিয়া সিটিজেন ডিফেন্স লিগ নামে একটি গ্রুপ জানিয়েছে, ট্রাম্প সমর্থকরা ওয়াশিংটন ডিসির পাশের রাজ্য ভার্জিনিয়ায় একত্র হচ্ছে। স্থানীয় সময় সোমবার সেখানে সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছে। ডিসির দূরবর্তী রিচমন্ডহিল এলাকায় তাদের সশস্ত্র সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়ায় বেশ উত্তেজনা কাজ করছে। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, অনুমতি ছাড়া অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া বন্ধ করা হবে।
এদিকে রোববার দুপুরে ওহাইও অঙ্গরাজ্যের কলম্বাসে স্টেট হাউজের সামনে ২৫ জন বন্দুকধারীকে সমাবেশ করতে দেখা গিয়েছে। বন্দুকধারীরা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার জন্য এই সমাবেশ করা। এর সঙ্গে ট্রাম্পের কোনো প্রকার সম্পর্ক বা মিল নেই।
গত ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনে মার্কিন সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদের যৌথ অধিবেশন বসে। সেখানে সদ্যনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য ইলেক্টরাল ভোটের আনুষ্ঠানিক গণনা করা হয়। ঠিক সেই সময় ট্রাম্প সমর্থকরা মার্কিন কংগ্রেসে হামলা চালায়। আর সেই হামলাকে সমর্থন জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের বিষয়ে আশঙ্কার জন্য নিরাপত্তার দিকে জোর দেওয়া শুরু করছে প্রশাসন।
সূত্র : সিএনএন ও আল-জাজিরা
জেএন