1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১১ অপরাহ্ন

নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২০ এপ্রিল, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্নআয়ের পেশাজীবী, কৃষক এবং প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে এ তহিবল গঠন করা হয়েছে। তবে গঠিত বিশেষ এ তহবিল থেকে ইতিমধ্যে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিতরা ঋণ পাবে না। গঠিত তহবিল থেকে ১ শতাংশ সুদে ঋণ পাবে তফসিলি ব্যাংক।

ব্যাংকগুলো থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ শতাংশ সুদে ঋণ পাবে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান। আর ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ দিতে পারবে। অর্থাৎ, গ্রাহক পর্যায়ে বিশেষ এ তহবিলের ঋণের সুদহার হবে ৯ শতাংশ।

আজ সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন বিভাগ থেকে বিশেষ এ তহবিল পরিচালনার নীতিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়। এ তহবিল থেকে একজন গ্রাহক ঋণ পাবেন সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা। তবে আয় উৎসাহী কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে নুন্যতম ৫ সদস্যবিশিষ্ট গ্রুপ সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবে।

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণের আওতায় এককভাবে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা এবং যৌথ প্রকল্পের ক্ষেত্রে নুন্যতম ৫ সদস্য বিশিষ্ট গ্রুপের অনুকূলে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা ঋণ পাওয়া যাবে। তবে গ্রুপের সদস্য সংখ্যা বেশি হলে ঋণের পরিমাণও আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, স্থানীয়ভাবে কৃষি এবং বিভিন্ন আয় উৎসাহী কর্মকান্ডে নিয়োজিত শ্রেণি-পেশার স্থানীয় উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবে। তবে অতিদরিদ্র, দরিদ্র অথবা কোন অনগ্রসর গোষ্ঠিভুক্ত ব্যক্তি এবং অসহায় বা নিগৃহীত নারী সদস্যগণ এ তহবিল থেকে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবেন।

ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে সপ্তাহিক বা মাসিক কিস্তিতে ঋণের অর্থ আদায় করবে। অর্থায়নকারী ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানকে প্রদত্ত তহবিল আদায়ের জন্য তিন মাসের গ্রেস পিরিয়ড দিবে।

অর্থায়নকারী ব্যাংক ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অর্থায়নকৃত অর্থ আদায় করবে। একইভাবে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অথায়নকারী ব্যাংকগুলো টাকা ফেরত দিবে। গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণকৃত ঋণ আদায়ের সকল দায়-দায়িত্ব ও ঝুঁকি সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান এবং অর্থায়নকারী ব্যাংক বহন করবে। ঋণ আদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাওনাকে সম্পর্কিত করা যাবে না বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশেষ এ তহিবল থেকে নেয়া ব্যক্তি ঋণের মেয়াদ হবে বিতরণের তারিখ থেকে গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ এক বছর। তবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পর্যায়ে বিতরণকৃত ঋণের মেয়াদ গ্রেস পিরিয়ডসহ দুই বছর হবে। গ্রাহক পর্যায়ে বার্ষিক সুদ ও সার্ভিস চার্জের হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ, যা ক্রমহ্রাসমান স্থিতি পদ্ধতিতে হিসাবায়ন করতে হবে। ভর্তি ফি, পাস বই, ঋণ ফরম এবং নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামার খরচ ব্যতীত অন্য কোন চার্জ বা ফি আদায় করা যাবে না বলে বিশেষ তহবিলের নীতিমালায় শর্তারোপ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও অর্থনৈতিক কর্মকাল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে দেশের নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক এবং প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের আয় উৎসারী কর্মকাল পরিচালনা করতে পারছেন না। গ্রামীণ অর্থনীতিতে দেশের নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক এবং প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অবদান অনস্বীকার্য। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক কর্মকাল চলমান রাখা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত কল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এই আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়েছে।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST