খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা পাওয়া বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেয়া নিম্ন আদালতের রায়ের নথি হাইকোর্টে পৌঁছানোর পর তার জামিনের বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে।
রোববার দুপুরে এক ঘণ্টার বেশি সময় শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, জজ আদালত থেকে এ মামলার নথি এলে তা দেখে আদালত আদেশ দেবে।
শুনানিতে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। জামিন আবেদনের শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি আদালতকে বলেন, ইতিহাসে এ প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী যিনি এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবীরা সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বয়স, অসুস্থতা ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে জামিন আবেদনের আর্জি করেন।
জামিন আবেদনে নিজের ৫টি রোগের কথা আদালতকে অবহিত করেছেন খালেদা জিয়া। এসব রোগসহ অন্যান্য গ্রাউন্ডে উচ্চ আদালতের কাছে জামিন আবেদন করেন তিনি।
আবেদনে বলা হয়, তার (খালেদা জিয়ার) বয়স ৭৩ বছর। তিনি শারীরিক নানান জটিলতায় ভুগছেন। ৩০ বছর ধরে তিনি গেঁটে বাতে আক্রান্ত। ২০ বছর ধরে ডায়াবেটিসে, ১০ বছর যাবত উচ্চ রক্তচাপ ও আয়রন স্বল্পতায় ভুগছেন।
জামিন আবেদনে বিএনপি চেয়ারপার্সন জানান, ১৯৯৭ সালে তার বাম হাঁটু ও ২০০২ সালে ডান হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এ জন্য তার গিটে ব্যথা হয়। যা প্রচণ্ড যন্ত্রণাদায়ক।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারিক আদালত। এরপর থেকে তিনি নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে আছেন।
এ মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেন- সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।