নিজস্ব প্রতিবেদক : না ফেরার দেশে চলে গেলেন কন্ঠরাজ দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এবং রাজশাহীর কৃতি সন্তান এন্ডু কিশোর। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় রাজশাহীর মহিষবাথান এ অবস্থিত তার বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার বোনের স্বামী ডা. প্যাট্রিক বিশ্বাস। বিদেশ থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থা ভাল ছিলো না।
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাসায় ছিলেল ক্যানসার আক্রান্ত এই শিল্পী।
গত বছরের ৯ সেপ্টেস্বর শরীরের নানা জটিলতা নিয়ে সিঙ্গাপুর চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন এন্ড্রু কিশোর। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার শরীরে ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর থেকেই সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। ছয়টি ধাপে তাকে ২৪টি কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। এর পর ১১ জুন রাতে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তাকে দেশে আনা হয়। এরপর থেকে তিনি রাজশাহীতে আছেন।
১৯৭৭ সালে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে প্লেব্যাকে যাত্রা শুরু করেন এন্ড্রু কিশোর; এরপর আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেও গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় বাংলা গান উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের।
তার শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকা সহায়তা করেছিলেন। পাশাপাশি ‘গো ফান্ড মি’ নামে এক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা হয়। সহশিল্পীদের মধ্যেও অনেকে তার পাশে দাঁড়ান। কিন্তু চিকিৎসায় তার সুস্থতা আসেনি।
কাল কয়েকদিন থেকেই তার শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। গত রাতে তার মৃত্যুর গুজ ও ছড়িয়ে পড়েছিল। আজ সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান শিল্পী ছিলেন। বাংলা ছবিতে তিনি একচেটিয়া গান গেয়েছেন। এক সময় প্রত্যেক ছবিতেই তার গান থাকতো। তার মৃত্যুতে রাজশাহীজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার মৃত্যুর খবর দে সবাইকে শোক প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
এমকে