নিজস্ব প্রতিবেদক : স্ত্রীর দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই কর্মকর্তার নাম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি সোনালী ব্যাংক চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা শাখায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি ওই থানার কলেজপাড়া এলাকার কুতুবুদ্দিনের পুত্র। রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট সংকর কুমার বিশ^াস বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক করার পর ২০১৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে ৫ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। এ টাকা
দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে শারিরিক থেকে মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে। এ বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিসও অনুষ্ঠিত হয়। শালিসে সিদ্ধান্তগুলো দুএকদিন মানলেও আবারও যৌতুকের নির্যাতন চালাতে থাকে। মামলার এজাহারে আরো বলা হয়, যৌতুকলোভী মোস্তাফিজ যৌতুকের জন্য এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠে যে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক গোপনে মোবাইল ফোনে ভিডিও করে। সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েও টাকা দাবি করে। স্বামীর নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া এবং শারিরিক সম্পর্ক ভিডিও ধারন করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকির প্রেক্ষিতে গত ১০ অক্টোবর রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী। আদালত মামলাটি গ্রহন করে ১০ ডিসেম্বর হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু ১০ ডিসেম্বর তিনি আদালতে হাজির হননি। আদালত পরবর্তী তারিখ হিসেবে ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার হাজিরের নির্দেশ দেন। আজ বৃহস্পতিবার মোস্তাফিজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি
শেষে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ভুক্তভোগী জানান, দীর্ঘ ১২ বছর আমরা প্রেমের সম্পর্ক করি। এরপর ২০১৬ সালে বিয়ে করি। বিয়ের পরই পাল্টে যায় মোস্তাফিজ। নানা সময়ে শুধু টাকার জন্যই চাপ দিতে থাকে। তার নিকট সংসারের কোন মূল্য নাই, টাকাই তার নিকট সবকিছু। টাকার জন্য স্বামী-স্ত্রীর শারিরিক সম্পর্ক গোপনে ভিডিও ধারণ করে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। কতটা নিচ হলে এ কাজ সে করতে পারে সেটি ভাবা যায়না। মোস্তাফিজুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগী।
এস/আর