নির্যাতনসহ নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বন্ধ করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির আহবান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। আজ মঙ্গলবার রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ-২০১৯ শীর্ষক বিভাগীয় পর্যায়ের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের বীরঙ্গণার স্বীকৃতি প্রদান করেছিলেন। বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে নির্যাতিতাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। সমাজে তাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নারী উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা অন্তর্ভূক্ত করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার দেখানো পথে সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নানা কৌশল ও নীতি প্রণয়ন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ খ্রিস্টাব্দে জয়িতা সম্মাননা প্রদান প্রথম শুরু হয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফলে আজ নারীরা কর্মক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি অবদান রাখার সুযোগ পাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে এসেছে। কিছুক্ষেত্রে পুরুষের চেয়েও নারীরা বেশি সাফল্য অর্জন করেছে। এ বছর রাজশাহী বিভাগের ৮ টি জেলা থেকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে মোট ১০ জন নারীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী, সফল জননী নারী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু
করা নারী ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী ক্যাটাগরিতে চূড়ান্ত ফলাফলে দশ জনের মধ্য থেকে ৫ জনকে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে পাবনার সুমনা সুলতানা সাথী, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে বগুড়ার মিফতাহুল জান্নাত, সফল জননী নারী হিসেবে রাজশাহীর আমিনা হক, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নব উদ্যমী নারী হিসেবে পাবনার মোছাঃ রোজিনা খাতুন ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রাজশাহীর মোসা: সেলিনা বেগম শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা গ্রহণ করেন। এর আগে চ‚ড়ান্তভাবে নির্বাচিত পাঁচজন জয়িতার জীবন সংগ্রামের উপর ধারণকৃত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য আদিবা আনজুম মিতা, ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে ঢাকা থেকে যুক্ত হয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি টিএম মুজাহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেন বক্তব্য দেন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।
এস/আর