রাবি প্রতিনিধিঃ সাংস্কৃতিক কর্মী মইনুল ইসলামের উপর হামলা কারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিতে সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেছে রাবি কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট। আজ রোববার বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে রাবি কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অন্তর আলীর সঞ্চালনায় গণসংগীতের মাধ্যমে এই সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের সভাপতি ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ আজম শান্তনু, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মলয় কুমার ভৌমিক, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও উদীচী রাজশাহী জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সুজিত সরকার, নাট্যকলা বিভাগের সহ অধ্যাপক শুকন সরকার, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আবুবকর প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, মইনুল একজন সাংস্কৃতিক কর্মী তার উপর আঘাত মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর আঘাত, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের উপর আঘাত।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে অধ্যাপক শাহ আজম শান্তনু বলেন, “আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতিক চর্চার যে ঐতিহ্য ও উপজীব্য আমরা রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা কাঁধে কাধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করব, আমরা মৌলবাদ, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে এক সাথে কাজ করে যাব।কিন্তু আজ এর বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে।আমরা আমাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারছি না। আমদের সংগ্রাম নস্যাৎ করার জন্য আজ চক্রান্ত চলছে। বিল্পব কিন্তু সবার আগে সাংস্কৃতিক কর্মীদের দিক থেকে আসে।”
অধ্যাপক সুজিত সরকার তার বক্তব্যে বলেন, “যারা সাংস্কৃতিক কর্মীর উপর আঘাত করেছে আমি মনে করি না তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা হাইব্রিড। এসমস্ত হাইব্রিড গুলো দলে অনুপ্রবেশ করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, আমরা অনতিবিলম্বে এদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
সমাবেশে প্রগতিশীল ছাত্রজোট রাবি শাখা, আবৃতি, সাংস্কৃতিক সংগঠন অরণী, রাবি প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, রাবিসাস সহ অন্যান্য প্রগতিশীল সংঘটন গুলো সমাবেশে সংহতি জানান।
উল্লেখ্য যে গত ৬ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজউদ্দীন কলা ভবনের পাশে চায়ের দোকানে অনুশীলন নাট্যদলের কর্মী মইনুল ইসলাম কে বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী। এর পর তাকে আহত অবস্থায় রামেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ