নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর সদর উপজেলার আলোচিত তেলকুপি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগের দ্বিতীয় দফায় তদন্ত শেষ করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বানু। এসময় প্রকৃত বিষয়টি উদঘাটনে তিনি প্রত্যেককে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন যাতে সকলেই স্বত:স্ফুর্তভাবে তথ্য দিতে পারেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্তের পদ্ধতীতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন উপস্থিত সকলেই। তবে দ্বিতীয় দফার তদন্তেও হাজির হয়নি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
এর আগে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ প্রথম দফায় তদন্ত করেন।
সভাপতির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ বিষয়ে তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বানু মঙ্গলবার সকাল প্রায় ১১টার দিকে বিদ্যালয়ে পৌছেন। এসময় তদন্ত সুষ্ঠু ও নিরাপত্তাবলয়ে করতে তিনি একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন করেন। স্বাগত বক্তব্যে তিনি দাবী করেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের কথা পৃথকভাবে শুনবেন। এব্যাপারে সহযোগীতা করতে তিনি উপস্থিত সকলকে তদন্তরুমের বাইরে অবস্থানের অনুরোধ করেন। বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, অভিযুক্ত জালাল উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তিনি তদন্ত শুরু করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে পরিচালনা পর্ষদের উপস্থিত সকল সদস্য, শিক্ষক ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুপুর দুইটার দিকে তদন্ত শেষ করে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
এসময় সাংবাদিকদের তিনি জানান, সভাপতির বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগের ব্যাপারে তিনি তদন্ত করেছেন। তবে ভুক্তভোগী ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী উপস্থিত না হওয়ায় তিনি এব্যাপারে পরে মেয়েটির সাথে কথা বলে তার বক্তব্য লিপিবদ্ধ করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবী করেন, সভাপতির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি সুষ্ঠু তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তদন্ত শেষে তিনি জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক ও স্থানীয় আ’লীল নেতা আনোয়ার হোসেন আনু।
তদন্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সভাপতি জালাল উদ্দিন সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তিনি সন্তুষ্ট। কেননা তিনি তার সকল কথা নির্দিধায় বলতে পেরেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে জালাল উদ্দিন দাবী করেন, ১০ম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থীর সাথে তার বিয়ের কথা পাকা হয়ে আছে। তাকেই তিনি বিয়ে করবেন। তবে গোপনে বিয়ে করার অভিযোগটি সত্য নয় দাবী করে তিনি জানান, মেয়ের বয়স পূর্ণ হলেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন জানান, পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করায় সকলেই স্বত:স্ফুর্ত ও নি:সঙ্কোচে তাদের কথা বলতে পেরেছেন। তিনি তদন্তের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অনুপস্থিত বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়ের বাবা আব্দুর রউফ জানান, মেয়ে অসুস্থ্য থাকায় তাকে উপস্থিত করা হয়নি। তবে পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা ইচ্ছে করলে মেয়ের সাথে কথা বলতে পারবেন। তিনিও পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কেউ উপস্থিত না থাকায় তিনি তার সকল কথা মনখুলে বলতে পেরেছেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ