নাটোর প্রতিনিধি: প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আমাদের পরবর্তি প্রজন্ম যখন জানবে ২০২১ সাল একটি মধ্যম আয়ের এবং যখন বিশ্বের বুকে ২০৪১ সাল নাগাত বাংলাদেশ একটি উন্নত পরিচয় লাভ করবে তখন নাটোরের ভবিষৎ প্রজন্মরা গর্ব অনুভো করবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক নাটোর জেলা কর্মপরিকল্পনা সহ চারটি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন । জেলা কর্মপরিকল্পনাটি সরকারের ” রূপকল্প ২০২১, টেকসই উন্নযন অভীষ্ট ২০৩০ এবং রূপকল্প ২০৪১: নিয়ে এই কর্মপরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। মোট ৩৩২পৃষ্টার এই বইটিতে সরকারের ৪৫টি দপ্তরের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। এতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান সহ নানা বিষয়ে প্রাধণ্য দেওয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে ’উত্তরা গণভবনের ইতিহাস’ রাজকুমারী ইন্দুপ্রভার আত্মকথা এবং জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের লেখা কবিতার বই হাঁটার গান’ এই চারটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক । এসময় অন্যন্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল , জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন সহ জনপ্রতিনিধি, সুধী সমাজ ও সাংবাদিকবৃন্দ।
এছাড়া একই সাথে ‘উত্তরা গণভবনের ইতিহাস’ রাজকুমারীর ইন্দুপ্রভার আত্মকথা এবং জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের কবিতার বই হাঁটার গান এই তিন বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয় । নাটোরের জেলা প্রশাসক বলেন, একটা জেলার উন্নয়নের জন্য জেলা কর্মপরিকল্পনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে চিন্তা নিয়েই আমরা দেশের প্রথম জেলা হিসেবে জেলা কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করার উদ্যোগ গ্রহন করি। দীর্ঘ পরিশ্রমের পর অবশেষে সেটি প্রকাশ হয়েছে। এই কর্মপরিকল্পনা দেখে আগামী দিনে কি কি করা লাগবে সেটা জানতে পারবে। যা এই জেলার উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, জেলা কর্মপরিকল্পনার পাশাপাশি উত্তরা গণভবনকে পর্যটন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এখানকার একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং রাজকুমারি ইন্দুপ্রভার আত্মকথা বই জেলা প্রশাসন প্রকাশ করেছে।