রাশেদুল ইসলাম,নাটোর প্রতিনিধি: আর মাত্র ক’দিন পরই শান্তির বার্তা নিয়ে মর্ত্যালোকে আসছেন দেবি দূর্গা। এ উপলক্ষে নাটোরের মন্দিরে মন্দির চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। দম ফেলার সময় নেই প্রতিমা শিল্পী ও কারিগরদের। প্রতিমার মাটির কাজ প্রায় শেষে চলছে রং তুলির আঁচর।তবে রং এর দাম বেশি হওয়ায় লাভের পরিমান কম হওয়ার আশংকা করছে কারিগরা। এবার জেলায় ৩৭১ পূজা মন্ডপে সুষ্ঠ ও শান্তি পূর্ণভাবে পুজা উদযাপন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ।
এবার দেবী দূর্গা আসছেন ঘোড়ায় চড়ে আর যাবেনও দৌলে। আর মাত্র ক’দিন পরই বোধনের মধ্য দিয়ে মন্দিরে স্থাপিত হবেন দূর্গা প্রতিমা। শুরু হবে শারদীয় দূর্গোৎসব। তাই সামান্য অবসর নেই এখন প্রতিমা শিল্পী আর কারিগরদের।
প্রতিমা শিল্পী সুজন পাল জানান,
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবিরাম কাজ করে চলেছেন তারা। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এ কাজে সহযোগিতা করছেন। দূর্গাপুজাকে সামনে রেখে প্রতিমার মাটির কাজ শেষে রঙ তুলির আঁচরে প্রতিমাগুলো জীবন্ত করে তুলছেন তারা। এসব প্রতিমার জেলার ভিতরে ও রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া সহ বিভিন্ন জেলার যাবে । এখানকার এক একটি প্রতিমার মূল্য ১৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্য়ন্ত।
নাটোরে পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, প্রতিবছরই নাটোরে সার্বজনীনভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন করা হয়। সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রহনে এ ঊৎসব প্রাণের উৎসবে রুপ নেয় উল্লেখ করে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, দূর্গা পূজাকে শান্তিপূর্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিমা তৈরী থেকে প্রতিমা বিসর্জ্জন পর্যন্ত এ ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে।
পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি ও পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি জানায়,
এবছর দেবী দুর্গার ঘোড়ায় আগমন আবার প্রস্থানও করবেন দৌলে চড়ে। ধর্মীয় রীতি অনুসারে দেবীর এ আগমন ও প্রস্থান কণ্যাণকর নয়।দেবি দূর্গার কাছে সকল অশুভ শক্তি বিনাশ করে শান্তি কামনা করেছেন ভক্তরা। তবু ভক্ত হৃদয়ের আরাধনায় সব অকল্যাণ দূর করে আনবে শুভ বার্তা- এমনটাই মনে করছেন সবাই।
খবর২৪ঘণ্টা, /জেএন