1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
নাটোরে রাস্তার গাছ কেটে সাবার - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ১ জানয়ারী ২০২৫, ১১:০৩ অপরাহ্ন

নাটোরে রাস্তার গাছ কেটে সাবার

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৬ মে, ২০২০

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর সদর উপজেলার গাজীর বিল এলাকায় নির্মাণাধীন নাটোর এলপিজি ফিলিং স্টেশনের সংলগ্ন নাটোর-ঢাকা মহাসড়কের এক পাশের ৫ থেকে ৬ বছরের বয়সের ৪৫টি আমগাছ মাত্র ৯৬০০ টাকায় বিক্রি করেছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প। এতে প্রতিটি আমগাছের মূল্য পড়েছে মাত্র ২১৩ টাকা। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের টেন্ডারে অংশ নিয়ে গাছগুলো কিনেছেন পাশ্ববর্তী লক্ষীপুর গ্রামের আমীর আলী। প্রতিটা গাছে প্রাপ্ত আম ধরে আছে । আমার বর্তমানে কোন রকম আটি হয়েছে মাত্র। আমার ভিতরে অংশে কিছুই হয় ।

আজ বুধবার (৬ই মে) সকালে গাছ কাটার সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে খবর সংগ্রহ করলে গেলে দুই গণমাধ্যমকর্মীর উপর চড়াও হন আমীর আলী ও তার লোকজন। এসময় তারা মোবাইল ফোনে ওই দুই গণমাধ্যমকর্মীর ছবি তুলে রাখার চেষ্টা করেন।

এদিকে, এতো কম মূল্যে আম গাছগুলো বিক্রির ব্যাপারে বক্তব্য জানতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নাটোর জোনাল কার্যালয়ে গিয়ে সহকারী প্রকৌশলীর পাওয়া যায়নি। একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেনি ।

জানা যায়, গত ৮ই মার্চ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পাবনার দাশুরিয়া হতে নাটোর মহাসড়কের পাশে ৯৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ৪৫টি আম গাছ বিক্রির জন্য নিলাম আহ্বান করে। ওই নিলামে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হন আমীর আলী। এ সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে গত ৩রা মে আমীর আলী বরাবর গাছ কর্তনের কার্যাদেশ প্রেরণ করেন বরেন্দ্রর নাটোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী আহসানুল করিম। প্রকৌশলীর মনোনীত প্রতিনিধির উপস্থিতিতে গাছ কাটার নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে সকালে বরেন্দ্রর কোনো প্রতিনিধির উপস্থিতি ছাড়াই গাছ কাটা শুরু করেন আমীর আলী।

স্থানীয়রা জানান, এসব গাছের প্রতিটিতে প্রাজাপ্ত আম ধরেছিলো। ক’দিন আগেও গাছগুলোতে আমের থোকা ঝুলছিলো। কার্যাদেশ প্রাপ্তির পর তড়িঘড়ি করে ক্রেতা আমীর আলী আমগুলো সংগ্রহ করে গাছগুলো কাটা শুরু করেন। প্রতিটি গাছ থেকে প্রায় ১০ মণ খড়ি পাওয়া যাবে যার বাজার মূল্যই আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। শুধুমাত্র নাটোর এলপিজি ফিলিং স্টেশনের গাড়ি যাতাতের জন্য তরিঘরি করে পাবনা থেকে টেন্ডার দিয়ে বিক্রি করে কাটা হচ্ছে। গাছপ্রতি ন্যুনতম আড়াই হাজার থেকে ২৭০০ টাকা লোকসানে বিক্রি করেছে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এতে সরকারের প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।

নিলাম প্রক্রিয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে গাছের ক্রেতা আমীর আলীর রাগন্বিত হয়ে ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, ‘আমি যথাযথ প্রক্রিয়া মাধ্যেমে নিলামে নির্বাচিত হয়েছি। আমি সাংবাদিকদের নিলামের ব্যাপারে বলতে বাধ্য নই। সাংবাদিকরা আমাকে টাকা দেয় না যে তাদের কথা শুনতে হবে।’

এ ব্যাপারে বরেন্দ্রর নাটোর জোনের (বিএমডিএ) সহকারী প্রকৌশলীর মুহাম্মদ আহসানুল করিম বক্তব্য জানতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার খোঁজে অফিসে যাওয়া হলে অফিসের নিরাপত্তা কর্মী আবদুল বারেক জানান, এখন কেউ অফিস করেন না। তিনি নিজেই শুধু পাহারা দেন। গত কয়েক দিন কোন স্যার অফিসে আসেননি। গাছ কাটার ব্যাপারে কোনো আদেশ প্রদান করা হয়েছে কি না বলতে পারবো না।

জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন, খুবই নগণ্য দামে গাছগুলো বিক্রির কথা শুনেছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST