নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে ভুয়া পরিচয় দিয়ে পাসপোর্ট করতে এসে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এক নারী (১৯)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক নারী রোহিঙ্গা বলে নিশ্চিত হয়েছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার দুপুর পর্যন্ত তাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতিসহ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
রোববার দুপুরে নাটোর আঞ্চলিক পাসর্পোট অফিস থেকে তাকে আটক করা হলেও নিশ্চিত না হওয়ায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিষয়টি গোপন রেখেছিল।
নাটোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-ডিবি) মো. সৈকত হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই নারীকে রোববার দুপুরের দিকে আটক করা হয়। তাকে রোববার দুপুর থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও আবেদন ফরমে লেখা তথ্যের বাইরে কোনো কিছু বলতে পারছেন না। আবেদন ফরমে তার নাম সোমা খাতুন এবং বাবার নাম বদির উদ্দিন, গ্রাম দুর্গাপুর, থানা-লালপুর, জেলা নাটোর পরিচয় দিয়েছেন। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আটক নারী রহিঙ্গা এবং তার সঙ্গে বাবাসহ আরো দুইজন রোহিঙ্গা ছিলেন। তারা আহম্মদপুর এলাকার দুইজন দালালের মাধ্যমে লালপুর এলাকায় অবস্থান করে পাসপোর্ট করার চেষ্টা করেছিলেন। তাদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
নাটোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মানিক চন্দ্র দেবনাথ জানান, আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় তাকে নাম পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হয়। কিন্তু তিনি কিছুই বলতে পারছিলেন না। বিষয়টি সন্দেহ হলে র্দীঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে কোনো সদুত্তোর দিতে পারেননি। এসময় তার সঙ্গে থাকা অপর দুইজন পুরুষও দ্রুত সটকে পড়েন।
পরে বিষয়টি সন্দেহ হলে জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পাসপোর্ট অফিসে আসেন। এসময় ওই নারীকে তাদের কাছে সোর্পদ করা হয়। ওই নারী নিজেকে সোমা খাতুন, পিতা- মো. বদিও উদ্দিন, গ্রাম-দুর্গাপুর, পো.-গোপালপুর, থানা-লালপুর, জেলা-নাটোর পরিচয় দিয়ে পাসর্পোট করার জন্য আবেদন করেছিলেন।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই