নাটোর প্রতিনিধি : মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি ও প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণেনাটোরে কিছুটা কোণঠাসা ভাবে রয়েছে মাদক বিক্রেতারা। যার ফলে মাদকসেবীরা দ্বিগুন টাকাদিয়েও পাচ্ছে না কোন মাদক দ্রব্য। আর এইসুযোগকে কাজে লাগিয়ে নাটোর শহরের কতিপয় অসাধু ফার্মেসী মালিক এবং কিছু অসাধু ঔষধব্যবসায়ী পেন্ট্রাডল, টাফেনটা, লোপেনট্রা, সেন্ট্রাডল ও ওমোরফোন সহ ইত্যাদি ব্যথানাশকঔষধ বিক্রি করে যাচ্ছে আইন অনুযায়ী রেজিঃ চিকিৎসকের পরামর্শ বা অনুমতিপত্র ছাড়া কোনঔষধ বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকলেও, এসব ঔষধ ব্যবসায়ীরা কোন নিয়মনীতি ও আইনের তোয়াক্কায় করছেনা। আর এসব ঔষধ দিয়েই চলছে মাদক সেবীদের মাদক সেবনের কাজ।নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মাদক সেবী জানায়, তারা এসব ব্যথানাশক ঔষধ ৩০
টাকা থেকে ১০০টাকা মূল্যেতে কিনে থাকেন।ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ব্যথানাশক ঔষুধ ব্যবহার করছে মাদকসেবীরা।নাটোরেরআধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাহবুবুর রহমান জানান, এসব ঔষধক্যান্সারের রোগীরা সেবন করে। বিভিন্ন ক্যান্সারের ব্যাথায় এসব ট্যাবলেট প্রতিসেধক হিসেবেকাজ করে।নাটোরজেলা শাখার বিসিডিএস সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বেন্টু জানান, আমরা শহরের সকল ঔষধব্যবসায়ীদেরকে এসব ব্যথানাশক ঔষধ রেজিঃ প্রাপ্ত ডাক্তারের অনুমতি পত্র ছাড়া বিক্রয় করতে নিষেধকরেছি।নাটোরেরডিবির ওসি (অফিসার ইনচার্জ) সৈকত হাসান বলেন, এসব অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ীদেরকে কঠোরনজরদারীতে রেখেছি এবং এদেরকে আইনের আওতায় আনতে আমাদের অভিযানঅব্যাহত আছে।ইতিমধ্যে আমরা একাধিক ঔষধ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছি এবং ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যেমেতাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদণ্ড হয়েছে।
আর/এস